আরও পড়ুন: নিউজ ১৮-এর খবরের জের, বালুরঘাট বিমানবন্দর চালু করতে তৎপরতা
চলতি মরশুমে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু হতেই মালদহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অতিরিক্ত ধলতা নেওয়ার অভিযোগ উঠতে শুরু করে। এমনকি অতিরিক্ত ধলতা নেওয়ার প্রতিবাদে হরিশ্চন্দ্রপুরে কৃষকেরা বিক্ষোভ পর্যন্ত দেখান। শুধুমাত্র হরিশচন্দ্রপুর নয়, জেলার প্রায় প্রতিটি ধান ক্রয় কেন্দ্র থেকেই অতিরিক্ত ধলতা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এক্ষেত্রে ভুক্তভোগী এক কৃষক ভুবন হাঁসদা বলেন, সারের দাম চড়া। এছাড়াও অন্যান্য জিনিসের দাম বেড়েছে। আমরা যখন ধান বিক্রি করতে যাচ্ছি সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে ৭ কেজি করে ধলতা নিচ্ছে। এতে আমাদের প্রচন্ড লোকসান হচ্ছে। প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
advertisement
কৃষকদের অভিযোগ, ধান ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে মূলত এক কুইন্টাল ধানে এক থেকে দুই কেজি ধলতা নেওয়া হয়। কারণ অনেক সময় দেখা যায়, ধানের ওজনে কিছু কম হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ধানের সঙ্গে অন্য সামগ্রী মিশে থাকে। তাই এই ধলতা দেওয়ার নিয়ম। মালদহ জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিক দিবানাথ মজুমদার বলেন, খাদ্য সরবরাহ দফতর থেকে ধান কেনা হচ্ছে। তবুও যদি কোনও কৃষক অতিরিক্ত ধলতা নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ জানায় তবে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
ধলতা নেওয়ার অভিযোগের পাশাপাশি মালদহের ধান বিক্রয় কেন্দ্রগুলিতে আরেকটি সমস্যাও নজরে এসেছে। কৃষকদের কিষাণ কার্ড অন্য কেউ ব্যবহার করছে। এক্ষেত্রেও কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে জেলা কৃষি দফতরের কর্তারা কৃষকদের নিজেদের কার্ড নিজেদেরই ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন। কৃষকেরা নিজেদের কার্ড নিজেরাই ব্যবহার করলে অনেকটাই বেনিয়ম কমবে।
হরষিত সিংহ