শুরুতে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্যোগ নিলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই হাল ছেড়ে দেন। কিন্তু একদল যুবকের মানবিক উদ্যোগ বদলে দিয়েছে ছবিটা। জলপাইগুড়ির পশুপ্রেমী সংগঠনের এই সদস্যরা নিয়মিত কুকুরটির খোঁজ রাখছেন। কখনও রোদে দাঁড়িয়ে হাতে স্যালাইন ঝুলিয়ে চিকিৎসা চালাচ্ছেন, তো কখনও বাইকের সিটে বসিয়ে দিচ্ছেন কেমোথেরাপি। প্রাণ বাঁচানোর এই লড়াই শুধুই এক পশুর জন্য নয়, এটা মানুষের মনুষ্যত্বেরও জয়।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
সংগঠনের এক সদস্য জানালেন, “অনেকেই প্রশ্ন করেন, রাস্তাঘাটে কুকুর নিয়ে এত কষ্ট করছ কেন? কিন্তু ও তো আমাদেরই একটা দায়িত্ব। কুকুরটার চোখে যে বাঁচার আকুতি, সেটা উপেক্ষা করা যায় না।” এই অক্লান্ত পরিশ্রমের পিছনে নেই কোনও আর্থিক লাভ, নেই সরকারি সাহায্যও। তবু ভালবাসা আর দায়বদ্ধতাই তাদের চালিয়ে নিয়ে চলেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারাও এখন ধীরে ধীরে পাশে দাঁড়াচ্ছেন। কেউ খাবার দিচ্ছেন, কেউ জায়গা করে দিচ্ছেন স্যালাইন ঝোলাতে।মানবিকতার এই নিদর্শন শুধু জলপাইগুড়িই নয়, গোটা সমাজের জন্য উদাহরণ। পশুদের প্রতি দায়িত্বশীলতা আর ভালোবাসার এই ছবি দেখিয়ে দেয়, এখনো সবটা হারিয়ে যায়নি। শেষরক্ষা হবে কি না, তা সময় বলবে, কিন্তু লড়াইটা নিঃসন্দেহে সম্মানের।
সুরজিৎ দে