ছবি আঁকার প্রতিভার বিষয়ে যুবক তীর্থ সরকার জানান, “ছোট থেকে বাড়ির পাশের দাদাকে দেখে ছবি আঁকার প্রতি আগ্রহ শুরু তাঁর। তারপর এলাকার এক দাদা দেবাশীষ দে সরকার তাঁকে বিনামূল্যে ছবি আঁকা শিখিয়েছেন। আজও সেই দাদা তাঁকে বিভিন্ন সময় ছবি আঁকার বিষয়ে সাহায্য করে থাকেন। যদিও পা দিয়ে ছবি আঁকতে বেশ অনেকটাই সময় লাগে। তবে তাঁর আঁকা ছবি যখন মানুষের পছন্দ হয়। তখন তাঁর বেশ ভালই লাগে। ভবিষ্যত দিনে তাঁর ইচ্ছে বড় মাপের ডিজাইনার হওয়ার। তবে পারিবারিক আর্থিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা পরিবার।”
advertisement
যুবকের মা লজ্জাবতী সরকার জানান, “আড়াই বছর বয়সে তাঁর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে সংসারের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। সংসারের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। বিশেষ ভাবে সক্ষম ছেলে, এক মেয়ে এবং বোনের এক ছেলেকে নিয়ে সংসার সামলান তিনি। তবে ছেলের প্রতিভায় সবসময় সহযোগিতা করেন তিনি। আগামীদিনে ছেলে আরও বড় হোক এমনটাই প্রত্যাশা তাঁর।” যুবকের দাদা দীর্ঘ দাস জানান, “মাসতুতো ভাইয়ের এই প্রতিভা সত্যি বহু মানুষের কাছে প্রশংসা কুড়োচ্ছে। তাই পরিবারের সকলে চায় যে ভাই আরও বড় হোক এবং তাঁর স্বপ্ন পূরণ করুক।”
বিশেষ ভাবে সক্ষম যুবকের ছবি আঁকার জিনিস যোগান দিতেও অসুবিধায় পড়তে হয় পরিবারের মানুষদের। তবুও কষ্ট করেও পেনসিল, কাগজ ও রং যোগান দেন তাঁরা। সাহায্য করেন তাঁর ছবি আঁকার শিক্ষক দাদা দেবাশীষ দে সরকার। তাঁর আঁকা ছবি বহু মানুষের কাছে অনেকটাই প্রশংসা পাচ্ছে বর্তমানে। তাঁর ছবি আঁকা দেখতে বহু মানুষ আসেন বাড়িতে। বহু মানুষ তাঁর আঁকা ছবি সংগ্রহ করেও নিয়ে যান।
Sarthak Pandit