এখানে কোন বিগ্রহ দেখতে পাওয়া যায় না।তার পরিবর্তে বেদি দেখতে পাওয়া যায়। সারা বছর মানুষ লাল কাপড় দিয়ে থাকেন মনোস্কামনা পূরণের জন্য। তবে, ভক্তদের দেওয়া সেই লাল শাড়ি কোনওদিনই উঁচু হয় না। ওই মন্দিরের বেদি বরাবরই থাকে। প্রত্যহ অন্নভোগের পাশাপাশি প্রতি অমাবস্যায় বিদ্যেশ্বরী মাকে মাছ ভোগ দেওয়া হয়।
জনশ্রুতি অনুসারে, মুরলীমোহন ভট্টাচার্য এই মন্দিরে পুজো করতেন। তাঁর একটি মেয়ে ছিল যার নাম ছিল বিদ্যেশ্বরী, যে তার বাবার সঙ্গে এই মন্দিরে পুজোর সময় সাহায্য করত। মানুষের মুখে শোনা যায়, একদিন সন্ধ্যা বেলায় বিদ্যেশ্বরী এই মন্দিরে সন্ধ্যা দিতে এসে নিখোঁজ হয়ে যায়।
advertisement
গ্রামবাসীরা এবং বাবা মা গ্রামের চারদিকে খোঁজাখুঁজির পর এই মন্দির স্থানে এসে তাঁর লাল শাড়ি বিছানো অবস্থায় দেখতে পায়। তাঁর নাম অনুসারে পরবর্তীকাল থেকেই মন্দিরটি বিদ্যেশ্বরী মন্দির নামে পরিচিত।
মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে জানা যায়, বছরান্তে এই যজ্ঞ তিন দিন ধরে হয়ে থাকে। সূর্য ওঠা থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ ধরেই এই যজ্ঞ হয়ে থাকে। মায়ের কৃপা পেতে প্রতি বছর দূর-দূরান্ত থেকে বহু ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে বিদ্যেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গনে।
আরও পড়ুন : নবদ্বীপের ক্ষীর দই এখন পাবেন নবাবের জেলাতেও! কীভাবে বানানো হয় এই ঘন দই? দেখুন ভিডিও
প্রতিবছর এই বিদ্যেশ্বরী মায়ের পুজোকে কেন্দ্র করে বিশাল আকৃতি যজ্ঞ উৎসব করা হয়ে থাকে। আর এই যজ্ঞ ও মায়ের পুজো স্বচক্ষে দেখতে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে প্রতি বছরই। চলতি বছরেও এর কোন ব্যতিক্রম হয়নি। ধর্ম-বর্ণ মিলে সবাই মেতে ওঠে কালীমায়ের আরাধনায়। এই পুজোয় সকলেই উপোস করে পুজো দেন, মানত করেন। মানত পূরণ হলে ফের মায়ের কাছে আসেন পুজো দিয়ে আশীর্বাদ নিতে।