আর পাঁচ জনের মত সংসারের গণ্ডির মধ্যে বেঁধে ফেলেননি নিজেকে। স্থানীয় একটি এসএসকে স্কুলে কাজ করে বাড়িতে ফিরেই নিজের স্বপ্নের প্রকল্প নিয়ে লেগে পড়েন। গ্রামের আর পাঁচ জন সাধারণ মহিলার মত চিন্তাভাবনা না করে এলাকার মহিলাদের পাশে দাঁড়িয়ে স্বনির্ভর করবার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন পলি মন্ডল। অক্লান্ত পরিশ্রমের পাশাপাশি নিজের ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে কার্পেট তৈরি করছে এলাকার প্রায় ১০০ জন গৃহবধূ। পাশাপাশি, বেশ কিছু মহিলাকে প্রশিক্ষকের মাধ্যমে কার্পেট তৈরি প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: নদী দূষণমুক্ত করতে অভিনব ব্যবস্থা! জেলায় প্রথম, খরচ ১০ লাখ টাকা, পুরো সিস্টেম অবাক করার মতই
এই বিষয়ে পলি মন্ডল বলেন, “বাইরে থেকে কার্পেট তৈরির সুতো নিয়ে এসে এখানে কাজ করা মহিলারাই কার্পেট তৈরি করে। এরপর সেই কার্পেটগুলো বেনারসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কার্পেটগুলো পালিশ ও সাইজ মত কেটে মার্কেটে উপলব্ধ হয়ে থাকে। বর্তমানে এই কারখানায় ৩০ সেন্টিমিটার বাই ৫০ সেন্টিমিটার ছোট কার্পেট ও সর্ববৃহৎ ১০ ফিট বাই ১৪ ফিট কার্পেট তৈরি হয়ে থাকে। মূলত এই কারখানায় বড় আকারে কার্পেটগুলোই বেশি তৈরি হয়ে থাকে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পলি দেবীর কথায়, একটা সময় ক্যানসার নিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে বাড়িতে শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি। সেই সময় যে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে চলতে হয়েছিল। তারই শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী সময়ে গ্রামের মহিলাদের স্বনির্ভর করার কথা চিন্তাভাবনা শুরু করেন তিনি। তারপর তিনি লড়াই শুরু করেন। প্রথম অবস্থায় কার্পেট তৈরীর কাজ ঠিক ভাবে না করতে পারলেও হার তিনি মানেননি। নিজেকে আরও ভালভাবে তৈরি করে বর্তমানে প্রায় কয়েকশো জন মহিলার চোখের মনি হয়ে উঠেছেন পলি মন্ডল।
সুস্মিতা গোস্বামী





