টাকার অভাবে এতদিন তাঁর টোটোর রেজিস্ট্রেশন করাতে পারেননি সুজিত বাবু। মেয়েকে উচ্চশিক্ষায় কীভাবে শিক্ষিত করবে, তা ভেবে প্রতিনিয়ত দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। সুজিত বাবু দীর্ঘদিন ধরে টোটো চালিয়ে সংসারের চাহিদা পূরণ করে আসছেন। বিনা রেজিস্ট্রেশনেই টোটোর চালিয়ে সংসার ও মেয়ের লেখাপড়ার খরচ জোটাতেন। টোটো চালিয়েই সংসার ও দুই মেয়ের লেখাপড়ার খরচ যোগান। এই সাফল্যে খুশি হওয়ার পাশাপাশি মেয়েকে আগামীতে উচ্চ শিক্ষাদানের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তা অনেকটাই বেড়ে গেছে বাবা সুজিত বসাক ও মা সোমা বসাক দুজনেরই।
advertisement
আজ পরিবহন দফতরের RTO সন্দীপ সাহা সহ অন্যান্যরা নিজেদের পকেট থেকে রেভিনিউ জমা করে সৃজিতার বাবার টোটোর রেজিস্ট্রেন ও কাগজপত্র বানিয়ে উপহার দিলেন। এবারের উচ্চমাধ্যমিকে কুমারগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকার ডাঙ্গারহাট হাইস্কুলের ছাত্রী সৃজিতা বসাক রাজ্যে প্রথম দশে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছেন। কলা বিভাগে ছাত্রী সৃজিতা উচ্চ শিক্ষা নিয়ে শিক্ষিকা ও সমাজসেবী হতে চান।
আরও পড়ুন, নেলকাটারের সঙ্গে কেন দুটো ছোট চাকু থাকে, জানেন কী কী কাজে এগুলি ব্যবহার করতে হয়
আরও পড়ুন, দুর্দান্ত খবর! ৭.৬৫% হারে FD-তে সুদ দিচ্ছে এই ব্যাঙ্ক, জানুন বিশদে
সৃজিতার সাফল্য ও তাঁর পরিবারের আর্থিক দুরাবস্থার কথা জানতে পেরে পরিবহন দফতরের RTO সন্দীপ সাহা এগিয়ে আসেন। আজ টোটোর লাইসেন্স ও কাগজপত্র হাতে পেয়ে খুশি সৃজিতার বাবা সুজিত বসাক। তিনি বলেন, “এই ভাবে সবাই যদি সকলের পাশে দাঁড়ান। তাহলে সমাজে কেউ আর অসহায় থাকবেন না।”
সুস্মিতা গোস্বামী






