বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও স্থায়ীভাবে কোন পদেই নিয়োগ হয়নি। আপাতত ১১ জন কর্মী ও প্রায় ৪০ জন অতিথি অধ্যাপক রয়েছে। যাদের বেতন প্রায় বন্ধের মুখে। যা নিয়ে কর্মী ও অধ্যাপকদের মধ্যেও চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এহেন বেহাল দুর্দশায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও ক্ষোভ বাড়ছে।
advertisement
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের জুলাই মাসে বালুরঘাটের উত্তরচকভবানী এলাকায় একটি অফিস ভাড়া নিয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া ও ক্লাস শুরু করেছিল। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে অংক, ইংরেজি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান তিনটি বিষয় চালু রয়েছে। দু'টি সেমিস্টারে প্রায় আড়াইশোর উপরে ছাত্রছাত্রী রয়েছে।
বালুরঘাটের মাহিনগর এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীরের কাজ শুরু হলেও সেখানে আর কোন কাজই হয়নি। পাশেই এয়ারপোর্ট রয়েছে, তাই ভবন নির্মাণ নিয়েও জটিলতা দেখা দিয়েছে। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন না থাকায় ক্লাস কখনও বালুরঘাট কলেজে আবার কখনও গার্লস কলেজের ভবনে চলছে। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস বিল্ডিংয়েও চলছে। যার ফলে নিজস্ব স্থায়ী ভবনের বিশেষভাবে প্রয়োজন পড়েছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় দুই বছর হতে চলছে। তবুও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন উন্নতি নেই।
চলতি বছরের গত ১৪ মার্চ থেকে হাইকোর্টের নির্দেশে উপাচার্যের পদ থেকে সঞ্চারি রায় মুখ্যোপাধ্যায়কে সরানো হয়। যার ফলে সমস্যা আরও দেখা দিয়েছে৷ দুই বছর গেলেও এখনও এক্সিকিউটিভ কমিটি গঠন হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওই কমিটি গঠন না হওয়া পর্যন্ত কোনও প্রকার নিয়োগ করতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সুস্মিতা গোস্বামী