বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজের পর বিগত দুই বছর ধরে মালদহের কালিয়াচক চৌরঙ্গী এলাকায় এক ফলের দোকানে আশ্রয় হয় নাবালকের। জানা গিয়েছে, ওই নাবালকের নাম ষষ্ঠী বৈশ্য (১৫), বাবা মন্টু বৈশ্য। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের হেমতাবাদ থানার সমাসপুরের তিতিথি গ্রামে। গত দুই বছর ধরে ওই নাবালক কালিয়াচক এলাকার বাসিন্দা জনি শেখের বাড়িতে খাওয়াদাওয়া এবং তাঁর ফলের দোকানের দেখাশোনা করত। তবে গত কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন তাঁদের ছেলে কালিয়াচক চৌরঙ্গী এলাকায় রয়েছেন।
advertisement
এদিন নাবালক ছেলেকে নিতে এসে মা জয়ন্তী বৈশ্য জানান, মোবাইলে ভিডিও দেখে জানতে পারি ছেলে কালিয়াচক এলাকায় রয়েছে। শারীরিকভাবে বিশেষভাবে সক্ষম ষষ্ঠী, তবে মানসিকভাবে অনেকটাই সুস্থ। স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত ওই নাবালক। দু’বছর আগে বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বেরনোর পর আর বাড়ি ফেরেনি সে। ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুব ভাললাগছে বলে জানান মা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এদিন নিখোঁজ নাবালক ছেলেকে মালদহের কালিয়াচক এলাকায় ছুটে আসেন পরিবারের সদস্যরা। সঠিক প্রমাণপত্র দেখে এবং পরিচয় যাচাইয়ের পর বিশেষভাবে সক্ষম নিখোঁজ ওই নাবালককে পরিবারের হাতে তুলে দেন ফল বিক্রেতা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। দীর্ঘ দুই বছর পর হারানো ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুশিতে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে গোটা পরিবার। পাশাপাশি আশ্রয়কারী ওই ফল বিক্রেতা এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান তাঁরা।





