এরপর দণ্ডীকাণ্ড নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে তপনের গোফানগর পঞ্চায়েতের চকবলরাম গ্রাম। কারণ জেলায় আদিবাসী প্রায় ৩০% ভোট দণ্ডীকাণ্ডের ঘটনার জন্য প্রভাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। বিজেপি পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই সুযোগকে হাতছাড়া করতে চায়নি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠন এই ঘটনার প্রতিবাদে সামিল করে বিজেপি। কিন্তু সেই রাজনৈতিক লাভ যাতে বিজেপি তার ভোট বাক্সে ফেলতে না পারে সেই কারণে এই ‘মাস্টারস্ট্রোক’ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আজও ব্যাপক বৃষ্টিতে তোলপাড় রাজ্য, ৩ জেলায় কমলা সতর্কতা জারি হাওয়া অফিসের
তৃণমূল প্রার্থী শিউলি মার্ডির দাবি, “আমার স্বামী ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতে গোফানগরে তৃণমূলের প্রধান হয়েছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস এলাকার উন্নয়ন, রাস্তাঘাট ও মানুষের কাজ করেছে। আমি এলাকার মানুষের উন্নয়ন করতে চাই।”
আরও পড়ুনঃ পঞ্চায়েতে গ্রামের ছেলেকেই চাই! স্থানীয় যুবককে দিয়ে যা করাল গ্রামবাসীরা…! অবাক TMC-CPIM-BJP
গোফানগর পঞ্চায়েত চকবলরাম সংসদে তৃণমূল প্রার্থী করেছে শিউলি মার্ডিকে। তার বিপক্ষে বিজেপির প্রতীকে লড়ছেন সোনামণি মুর্মু এবং আরএসপির প্রার্থী সালোমি হেমব্রম। গত এপ্রিল মাসে বিজেপি গোফানগরের বাদসনকৈইর গ্রামে যোগদান করে ২০০ আদিবাসী পরিবার। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূলের মহিলা সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সনকৌইর গ্রামের তিন আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডী কাটিয়ে বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফেরানোর অভিযোগ ওঠে। উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। এমনকি এই ঘটনার পরে ২ মে জনসংযোগ কর্মসূচিতে এসে আদিবাসী ওই তিন দণ্ডীকাটা মহিলার সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পদ যায় প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর।
ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই মনোনয়নপত্র জমা দেন শিউলি মার্ডি এবং দেওয়াল লিখনের পরে প্রচার শুরু করেছেন। সমগ্র আদিবাসীর সমাজ তার পক্ষে থাকবে বলে তিনি আশাবাদী। তাঁর দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস চকবলরাম এলাকা থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হবে।
সুস্মিতা গোস্বামী





