তাই এবার বিপর্যয় নামলে, প্রয়োজনে উদ্ধার কাজের জন্য স্পিডবোট নদীতে নামিয়ে মহড়া দিল প্রশাসন। এদিন ভাঙন এলাকার পাশেই আত্রেয়ী সদরঘাটে নতুন স্পিডবোট নামিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন দক্ষিণ দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক রবি প্রকাশ মিনা, মহকুমা শাসক সুব্রত কুমার বর্মন সহ একাধিক আধিকারিক। অতিরিক্ত জেলাশাসক রবি প্রকাশ মিনা জানিয়েছেন, “আগে দুটি স্পিডবোট ছিল। এদিন উন্নত মানের আরও দুটি স্পিডবোট কাজ শুরু করল। সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা এগুলি চালাবে।
advertisement
আরও পড়ুন : শৌচালয়ের অভাব, রাস্তায় বেরিয়ে ভয়ে থাকেন মহিলারা! ঘাটালবাসীর সমস্যার শেষ নেই
তিনি আরও বলেন, বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে সেগুলিকে কাজে লাগানো হবে। জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে দুটি সাব ডিভিশনে দুজন করে মোট চারজন অগ্রগামী কর্মী নিযুক্ত রয়েছেন। পাশাপাশি, পুলিশ ও প্রশাসনের একটি ১২ জনের দল রয়েছে। ডুবুরি হিসেবে তাঁরাও কাজে নামতে পারবেন। কোথাও জলে অবরুদ্ধ হওয়ার খবর পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের বাঁচানো যাবে। এদিন ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ও সিভিল ডিফেন্সের ওসি তপনজ্যোতি বিশ্বাস এবং জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিক অনিল কুমার গুপ্তার তত্ত্বাবধানে সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা স্পিডবোটের সফল ট্রায়াল দিয়েছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যেখানে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ও সিভিল ডিফেন্সের স্টাফ অফিসার কাম ইন্সট্রাক্টর ছিলেন ভাস্কর দাস। এই মুহূর্তে জেলায় প্রায় ২০০ টি সক্রিয় সিভিল ডিফেন্স কর্মী রয়েছেন। এদিন জেলা সিভিল ডিফেন্সের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৩০০টি নতুন লাইফ জ্যাকেট। আপদ মিত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩০০ জন রয়েছেন। কোনও রকম বিপর্যয় ঘটলে যাতে দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করা যায় তার জন্যই এই নতুন স্পিডবোট এদিন ট্রায়াল করা হয়েছে বলে প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে।