দীর্ঘ সময় ধরে সাদা বরফের টুকরো পড়তে থাকে রিশপে। মূহূর্তেই বরফস্নাত হয়ে পড়ে রিশপ। চারপাশ মূহূর্তে সাদা চাদরে ঢাকা পড়ে যায়। যেদিকেই দুই চোখ যায়, শুধুই সাদার আস্তরণ। এক ধাক্কায় পড়তে থাকে পারদ। কনকনে ঠাণ্ডায় কাঁপছে রিশপ।
বরফ নিয়ে আনন্দে মাতোয়ারা বেড়াতে আসা পর্যটকেরা। কার্যত অসময়ে তুষারপাত। মুগ্ধ, অভিভূত পর্যটকেরা। বড়দিনের উৎসবের আগে বড় পাওনা! যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। আগাম কোনো সতর্কতাও ছিল না। গত পরশু থেকে লাভাতে পারদ নামতে শুরু করেছে।
advertisement
আরও পড়ুন- পাহাড়ের কোলে কমলালেবুর দেশ সিটং, নিরিবিলি আর বন ফায়ারে জমুক ছুটির মেজাজ!
এই মূহূর্তে লাভা, লোলেগাঁও এবং রিশপে প্রচুর পর্যটক রয়েছেন। বরফ পড়ায় যারপরনাই আনন্দে আত্মহারা পর্যটকেরা। অনেকেই বরফ নিয়ে খেলতে শুরু করেন। সেল্ফি তোলার হিড়িক পড়ে যায়। মূহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে তুষারপাতের খবর।
এদিন উত্তর সিকিমের না থুলাতেও তুষারপাত হয়! সকাল থেকে অঝোরে ঝরতে থাকে বরফ। সবুজে ঘেরা চারপাশ সাদা চাদরে মুড়ে গিয়েছে। রাস্তাতেও পুরু বরফের চাদর। নামছে পারদ! খুশি পর্যটন ব্যবসায়ী। তাঁদের কথায়, বুকিংয়ের জন্যে প্রচুর ফোন আসছে। কিন্তু পাহাড়ের কোথাও একটি রুমও নেই। দার্জিলিংয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে যা বড় উপহার। বলছেন দুই পর্যটক বন্যা আগরওয়াল, রেশমি বসু দাসেরা। অভিভূত পর্যটকেরা।
আরও পড়ুন- পাহাড় কেটে বসছে রেললাইন! হঠাৎ শ্রমিকদের দিকে গড়িয়ে এল বোল্ডার
এদিকে সকাল থেকেই রোদ ঝলমলে ওয়েদার! পাহাড় থেকে সমতল সর্বত্রই একই ছবি। শৈলশহর দার্জিলিংয়ের ম্যাল থেকে কালিম্পংয়ের রিশপ। সমতলের শিলিগুড়ির উড়ালপুল। আজও দেখা গেল কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ সৌন্দর্য্য। পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা আপ্লুত। এর টানেই তো ছুটে আসা। বলছেন পর্যটকেরা। তাপমাত্রা সামান্য হেরফের হয়েছে। তবে মন ডুবে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘায়। সমতলেও মর্নিং ওয়াকারদের মন ছুঁয়েছে ঘুমন্ত বুদ্ধ। ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সমতল থেকে কাঞ্চন দর্শন বহু বছর বাদে।