একসময় এই শিল্পের আয়তন বিশাল থাকলেও চাহিদা হ্রাসের কারণে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প ধীরে ধীরে ক্রমহ্রাসমান হয়ে পড়েছে। তবে বংশ পরম্পরা মেনে আজও অনেকে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় মহিলারা পাট থেকে সুতো বের করে এই শিল্পের কাজ করেন।
advertisement
এই কাজে উপার্জন কম ও পরিশ্রম বেশি। তাও অর্থের জন্য নানান কাজের ফাঁকে বহু মহিলা এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। পাটের সুতো থেকে বিছানার চাদর, টেবিল ক্লথ,পাটের ব্যাগ, কভার ফাইল, বাস্কেট, মোবাইলের খাপ, জুতো, পাপোশ, পাটের শৌখিন গহনা, পাটের কার্পেট, শতরঞ্চি ও ঘর সাজানোর নানা সামগ্রী তৈরি হয়।
উৎসাহ ও উন্নত প্রশিক্ষণ পেয়ে বিভিন্ন এলাকার শিল্পীরা বর্তমানে আরও নতুন নতুন সামগ্রী তৈরি করছেন। আর পরিবেশ বান্ধব হবার কারণে আবার নতুন করে চাহিদা বেড়েছে পাটের নানান সামগ্রীর। পাট শিল্পী রিনা খাতুন বলেন, ২০০৮ সালে আমরা ভোকেশনাল ট্রেনিং কোর্সের মাধ্যমে এই পাটের তৈরি জিনিসের কাজ শিখেছি। তারপর নিজেরাই পাটের সুতো দিয়ে বিনো নিয়ে গেঁথে এই কাজ করছি। দেশের পাশাপাশি জুটের তৈরি এইসব জিনিসের চাহিদা আছে বিদেশের বাজারেও।এই মুহূর্তে নতুন ট্রেন্ড হল জুটের জিনিস। আমরা বিগত ১৫ বছর ধরে এই কাজ করছি। এখন এই কাজের প্রশিক্ষণও আমরা দিয়ে থাকি।
অনির্বাণ রায়