পদমর্যাদায় তিনি একজন জনপ্রতিনিধি। সাধারণ মানুষের সমস্যা শুনতে এবং তা সমাধান করতে কাটে দিনের অধিকাংশ সময় তবে তার মাঝেও নিজের সখকে ভুলে যাননি। সময় পেলেই শখ পূরণে কখনও পুরনো জিনিস খুঁজে বেড়ান আবার কখনও নারকেল থেকে শুরু করে রাস্তায় পড়ে থাকা পাথরে কারুকার্য করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: ভারতে ‘লাল’ রঙের পাসপোর্ট কারা পায় জানেন…? শুনলেই চমকাবেন ‘উত্তর’!
advertisement
আপার বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জীব বাবু। কলেজ লাইফ থেকেই এসবের প্রতি ঝোঁক তাঁর। হঠাৎই কলেজের মাঠে বসে চক পেন্সিলের উপর সুঁচ দিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বানিয়ে ফেলেছিলেন একটি মূর্তি তারপরেই যেন নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসটা আরও বেড়ে যায়। এরপর থেকেই একেকটি ফেলে দেওয়ার জিনিসকে নতুন রূপ দেওয়াই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। ঘরের অন্দরমহল তাঁর হাতের তৈরি নানান কারুকার্যে ভরা জিনিস দিয়ে ভর্তি।
শখ ছিল কাঠের উপর মুখ্যমন্ত্রীর একটি প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলবেন। সেই স্বপ্ন পূরণেই বিগত এক বছর থেকে কাঠের উপর খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে যন্ত্র দিয়ে ফুটিয়ে তুলছেন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি। এই প্রসঙ্গে আপার বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জীব সিনহা জানান ইচ্ছেটা অনেক আগে থেকেই, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তাঁর ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা রয়েছে। বর্তমানে সেই ইচ্ছে আর ভালবাসাতেই কাঠের গুড়ির উপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তুলছি।
“মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের হাতে এই উপহার তুলে দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে তবে জানি না কবে সেই সুযোগ হবে। কখনও চক পেন্সিল কখনও সাবান আবার কখনও নারকেলের উপরেই বিভিন্ন কারুকার্য করে থাকি। তারপরে হঠাৎ একদিন মাথায় আসে সবকিছুর উপরে বিভিন্ন মূর্তি ফুটিয়ে তুলতে পারলে পাথর বা কাঠের উপর কেন পারব না? তারপর এই চেষ্টা শুরু। এরপরেই মিলে যায় সাফল্য বিগত এক বছর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর এই ছবিটি তৈরি করছি আরও কিছু কাজ বাকি রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে সেই কাজের সম্পন্ন হবে।
কথায় আছে ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়, আপার বাগডোগরা বাসিন্দা তথা পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জীব বাবুর বাড়ি বর্তমানে যেন আস্ত এক মিউজিয়াম। যেই ঘরে গেলে ফিরে যাওয়া যায় পুরনো ইতিহাসের পাতা। শুধু অ্যান্টিক জিনিসই নয় তাঁর হাত যে ভাবে ফেলে দেওয়ার জিনিসকে নতুন রূপ দিয়ে আসছে তা আগামী নতুন প্রজন্মকে এক অন্য পথ দেখাবে।
সুজয় ঘোষ





