বর্তমানে শিলিগুড়ি পুরনিগমের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্মল বন্ধুদের পাশাপাশি নির্মল সাথী হিসেবে জঞ্জাল অপসারণের কাজে নিযুক্ত রয়েছেন ১২৪ জন মহিলা। তাঁরা শুধু আবর্জনা সংগ্রহই নয়, বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার কাজও করছেন। বিশেষ করে ড্রাই ওয়েস্ট ও ওয়েট ওয়েস্ট আলাদা করে রাখার বিষয়ে নিয়মিত বার্তা দিচ্ছেন নির্মল সাথীরা। এর সুফলও মিলতে শুরু করেছে—শহরের বহু এলাকায় বদলেছে মানুষের অভ্যাস, বেড়েছে সচেতনতা।
advertisement
আরও পড়ুন: কাঁচের বোতলে আস্ত জাহাজ! প্রবেশ করল কীভাবে! তাক লাগানো শিল্পকর্ম যুবকের, দামও আকাশছোঁয়া
এই ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করতে এবার বাড়ি বাড়ি বসান হবে কিউআর কোড। আবর্জনা সংগ্রহের সময় নির্মল সাথী বা নির্মল বন্ধুরা ওই কিউআর কোড স্ক্যান করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে নথিভুক্ত হবে কোন বাড়ি থেকে কখন আবর্জনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর ফলে কোনও গাফিলতি হলে সঙ্গে সঙ্গে তা নজরে আসবে শিলিগুড়ি পুরনিগম ও সুডার।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পুরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাটে প্রায় এক বছর আগে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছিল এবং সেখানে বাড়ি বাড়ি পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য মিলেছে। সেই অভিজ্ঞতা নিজে সশরীরে খতিয়ে দেখার পরই শিলিগুড়িতে এই পরিকল্পনা কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জঞ্জাল অপসারণ সংক্রান্ত এমএমআইসি সদস্য মানিক দে-র বিশেষ তত্ত্বাবধানেই এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এই নতুন ব্যবস্থার প্রস্তুতি হিসেবে শিলিগুড়ির একটি বহুতল ভবনে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ১০৫ জন মহিলা নির্মল সাথীকে নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের সুপারভাইজাররা ইতিমধ্যেই কলকাতা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন এবং বর্তমানে তাঁরা নির্মল সাথীদের হাতে-কলমে ট্রেনিং দিচ্ছেন। প্রশিক্ষণ পর্ব শেষ হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই শহরজুড়ে বাড়ি বাড়ি কিউআর কোড বসানোর কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে পুরনিগম। এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিলিগুড়িকে আরও পরিচ্ছন্ন, আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর শহর হিসেবে গড়ে তোলাই লক্ষ্য প্রশাসনের।





