মূলত রেড লেডি পাপাইয়া, ড্রাগন ফল ও স্ট্রবেরি চাষ করে স্বনির্ভরতার পথে হাঁটছেন অনেক কৃষক। পাশাপাশি মৌসুমি চাষে যোগ দিচ্ছেন বিপুল সংখ্যক চাষি। লাল শাক, পাট শাক-সহ নানা ধরনের সবজি একসঙ্গে ফলিয়ে বাজারে পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা।
advertisement
নতুন প্রজন্মও এই চাষ পদ্ধতিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। কারণ এতে রোজগারের সুযোগ দ্বিগুণ হয়েছে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের Centre of Floriculture and Agri-Business Management (COFAM) বিভাগ কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ নৈহাটির বড়মা পূজিত হবেন উত্তরবঙ্গের এই শহরে, সঙ্গে চন্দননগরের লাইটিং! রয়েছে আরও চমক
একই জমিতে পাট ও ঢেঁড়স চাষ এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কৃষকেরা প্রথমে জমিতে উভয় ফসলের বীজ ছড়িয়ে দেন। পাটশাক যখন বাজারযোগ্য হয়, তখন তা কেটে বিক্রি করা হয়। আর ঢেঁড়স বড় হতে থাকে। ফলে একই জমিতে ধারাবাহিকভাবে দুটি ফসল ফলছে। এতে লাভের অঙ্কও বাড়ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অল্প জমিতে একসঙ্গে একাধিক ফসল ফলানোর এই নতুন পদ্ধতি উত্তরবঙ্গের কৃষকদের জন্য আশার আলো হয়ে উঠেছে। মৌসুমি সবজি থেকে শুরু করে বিদেশি ফল, সবই এখন স্থানীয় জমিতে ফলছে। আর সেই সঙ্গে বাড়ছে আয়ের সুযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতায় কৃষকেরা শুধু আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তাই না, বরং কৃষিকাজে আত্মবিশ্বাসও ফিরে পাচ্ছেন তাঁরা। এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে, তবে উত্তরবঙ্গের গ্রামীণ অর্থনীতি আগামী দিনে আরও মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে যাবে।