চোখের পলকে পালিয়ে গেল বাইকটা। কাঁচের চেনের মতোই ভেঙে গেল গ্রামের মানুষের নিরাপত্তার আস্থা। কাঁপতে কাঁপতে দৌড়ে বাড়ি ফিরলেন মহিলা। ঘরে ঢুকেই পরিবারের হাতে ছেড়ে দিলেন ফুলের গুচ্ছ — আর সঙ্গে ভয় আর কান্না। মুহূর্তেই ভিড় জমল প্রতিবেশী-আত্মীয়রা। কে দেখেছে? কীভাবে হল? প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সবার দৃষ্টি গেল গ্রামের এক বাড়ির গেটের উপরে টাঙানো সিসি ক্যামেরার দিকে। ফুটেজ ঘুরল — বারবার। সেই একই দৃশ্য — বাইক, দু’জন যুবক, থামা, ছিনতাই, পলায়ন! এক মিনিটও নয় — পুরোটা হয়তো ১০ সেকেন্ড। এতেই রোজকার গলিপথ যেন অজানা অন্ধকারে ঢেকে গেল।
advertisement
এরপর আর দেরি নয়। স্থানীয়রা লিখিত অভিযোগ জমা দিলেন ফাঁসিদেওয়া থানায়। পুলিশ সিসি ক্যামেরা ফুটেজ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। বাইকের নম্বর খুঁজে বার করার চেষ্টা চলছে। পাশের দোকান, পানের গুমটি — যেখানে যেখানে ক্যামেরা আছে, সব ঘেঁটে দেখা হচ্ছে। ‘দিবালোকে এভাবে ছিনতাই!’ — ক্ষোভে ফুটছে স্থানীয়রা। এলাকার এক বৃদ্ধা বললেন, ” দুপুরবেলায় যদি এরকম হয়, তাহলে সন্ধের পর কী হবে? ছেলে-মেয়েরা তো একা বার হতেই পারে না!’’ এলাকার যুবকেরা বলছে, ” পুলিশ যদি কড়া ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে এরা আরও বেপরোয়া হবে। বাইকবাহিনীর তাণ্ডব থামাতেই হবে!’’
এখন সন্ধ্যা নামলেই বাড়ির দরজা বন্ধ। অজানা বাইকের শব্দেই বুক দুলছে। সোনার চেন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে ঠিকই — কিন্তু সঙ্গে ছিনতাই হয়েছে ভরসারও এক টুকরো। এই গল্প এখানেই শেষ নয় — পুলিশ বলছে, শীঘ্রই ধরা পড়বে অভিযুক্তরা।
ঋত্বিক ভট্টাচার্য





