বরাদ্দ হওয়া টাকা দিয়ে বাগডোগরা বিমানবন্দরের রানওয়ে, নাইট ল্যান্ডিং সিস্টেম, টার্মিনাল বিল্ডিং, মাল্টিসোরিড কার পার্কিং সহ একাধিক পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। সেই সব কাজের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে জমি চেয়েছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: এটি কী প্রাণী বলতে পারবেন? থ বিজ্ঞানীরাও, আসল সত্য বেরিয়ে আসতেই আকাশ থেকে পড়ল সকলে
advertisement
সেইমতো ১০৮ একর জমি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করে রাজ্য সরকার। আর সেই জমি পেতেই বিমানবন্দরকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয় কেন্দ্র সরকার। বিমানবন্দরটির কাজ সম্পূর্ণ শেষ হলে আগামীতে আন্তর্জাতিক বিমানের সংখ্যা বাড়বে। এতে অনেক সুবিধা হবে পর্যটকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের। এই বিষয়ে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, “বাগডোগরা বিমানবন্দরের গুরুত্ব দিনে দিনে বাড়ছে। পর্যটকদের চাপ বাড়ছে বিমানবন্দরে। যে কারণে বিমানবন্দরের উন্নয়ন ও পরিসর এবং ঢেলে সাজানোর প্রয়োজন ছিল। সবথেকে বড় সমস্যা ছিল রাতে বিমান অবতরন, রানওয়ে বৃদ্ধি ও টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের। সেইমতো কেন্দ্র সরকার বিমানবন্দরের জন্য তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।”
আরও পড়ুন: সর্বনাশ! আশোকনগরে ডাস্টবিনে ওগুলো কী! মাথায় হাত কত মানুষের
সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলে গোটা উত্তর পূর্ব ভারতের প্রথম আন্তর্জাতিকমানের বিমানবন্দর হবে বাগডোগরা বিমানবন্দর। এতে উত্তরবঙ্গ, সিকিম সহ গোটা উত্তর পূর্ব ভারতের পর্যটন, শিল্প ও বাণিজ্যে জোয়ার আসবে।” তিনি আরও জানান, শিলিগুড়ি হয়ে উত্তরবঙ্গ তরাই, ডুয়ার্স এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র সরকার। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩২ জোড়া বিমান চলাচল করে। প্রতিদন গড়ে আট থেকে দশ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। আগামী ৩০ মাসের মধ্যে সেই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে কেন্দ্রীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলে বিমান চলাচলের সংখ্যা দ্বিগুন হয়ে যাবে।
——- অনির্বাণ রায়