রাস্তাতেই অবাধে ক্যাঙারুদের দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা খবর দেন বন দপ্তরে। বনকর্মীরা এসে উদ্ধার করেন। পর দিন অর্থাৎ ২ এপ্রিল আরও একটি ক্যাঙারু উদ্ধার হয়। তবে সেটিকে বাঁচানো যায়নি। কোথা থেকে এলো এই ক্যাঙারুর দল? তা নিয়ে এখোনো ধোঁয়াশায় বনকর্তারা। আপাতত উদ্ধার হওয়া তিনটে ক্যাঙারুকে রাখা হয়েছে বেঙ্গল সাফারি পার্কে। চিকিৎসাও চলছে। এখনও একটি ক্যাঙারু দুর্বল বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। বিশেষ যত্নও নেওয়া হচ্ছে। তরমুজ, কলা জাতীয় ওদের প্রিয় খাবার দেওয়া হচ্ছে। পশু চিকিৎসকেরাও নজর রাখছেন।
advertisement
আরও পড়ুন : আজন্ম নেই দুটো হাত, বাকি সব কাজের সঙ্গে পায়ের অবলম্বনেই সন্তানকে বড়ও করছেন মা
তিনটে ক্যাঙারুকেই পৃথক এনক্লোজারে রাখা হয়েছে। এখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানানোর প্রক্রিয়াও চলছে। শারীরিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠলে খোলা জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে এখনই পর্যটকদের জন্যে ছেড়ে দেওয়া হবে না বলে সাফারি পার্কের ডিরেক্টর দাওয়া সাংমু শেরপা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন : মন্দিরে পুজোর পাশাপাশি গান রেকর্ডিং, খুদেদেরও ‘কাঁচা বাদাম’ থেকে নিরাশ করলেন না
আরও পড়ুন : চালের কেজি ২২০, গুঁড়ো দুধ ১৯০০, জন্মভূমি শ্রীলঙ্কার জন্য কী বার্তা জ্যাকলিনের?
এর আগে গত ১২ মার্চ আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম থেকে একটি ক্যাঙারু উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে কলকাতা চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু এই তিন ক্যাঙারুর স্থায়ী ঠিকানা কী হবে? তা এখনও স্পষ্ট নয়। মূলত এখানকার পরিবেশের সঙ্গে কতটা মানিয়ে নিতে পারে অতিথিরা, সেটাই গুরুত্ব পাচ্ছে। তবে বেঙ্গল সাফারি পার্কে রাখা হলে উত্তরে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে বড় পাওনা হবে। কেননা এখানেই রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, লেপার্ড, স্নো বিয়ার, হরিণ, গণ্ডার, হাতি-সহ একাধিক জন্তু।
তবে এই ক্যাঙারুর দল এল কোথা থেকে? কাীভাবেই বা উত্তরবঙ্গে হাজির হল? তা নিয়ে ধন্ধ বাড়ছে।