নতুন আশার আলো দেখাচ্ছেন সদ্য নিযুক্ত এসজেডিএ চেয়ারম্যান দিলীপ দুগ্গার। দায়িত্ব নিয়েই তিনি শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেবের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। বৈঠক শেষে দু’পক্ষই এক সুরে বলেছেন — এবার বিধান মার্কেটের সমস্যা সমাধানেই জোর দেবে প্রশাসন।
advertisement
চেয়ারম্যান দিলীপ দুগ্গার জানিয়েছেন, ‘‘বিধান মার্কেট কমিটির সঙ্গে খুব শীঘ্রই আলোচনা হবে। যে সমস্যাগুলো বছরের পর বছর ধরে রয়েছে, সেগুলো দ্রুত সমাধানের চেষ্টা হবে।’’
কিন্তু ব্যবসায়ীরা কতটা ভরসা রাখছেন?
বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বাপি সাহা জানিয়েছেন, ১৯৬২ সালের ১ বৈশাখে ডঃ বিধানচন্দ্র রায়ের হাত ধরে এই মার্কেটের সূচনা হয়েছিল। তখন থেকে আজ অবধি জমির মালিকানা, এগ্রিমেন্ট, পরিকাঠামো — সবকিছু নিয়েই চলছে অনিশ্চয়তা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তিনি বলেন, ‘‘প্রথমে লট সিস্টেম, পরে পাঁচ থেকে আট বছরের এগ্রিমেন্ট, তারপর ১১ মাসের এগ্রিমেন্ট — ফলে ব্যবসায়ীরা এখনও ভাড়াটিয়া হিসেবেই থেকে গেছেন। ২০০৭ সালে এনআর সেক্টর বিল্ডিংয়ে ১৬০ দোকান ৯৯ বছরের লিজ পেলেও বাকি প্রায় ১৬৫০ ব্যবসায়ীর ভাগ্যে কিছু জোটেনি। বহুবার মুখ্যমন্ত্রীকেও জানানো হয়েছে, তবুও সমাধান হয়নি।’’
মূল সমস্যা জমির অধিকার, বেহাল পরিকাঠামো, জলনিকাশি, টয়লেট, পার্কিং সবই একই জায়গায় আটকে আছে। বাপি সাহা জানিয়েছেন, নতুন বোর্ড বৈঠকে বসতে চাইছে শুনে ভাল লাগছে, কিন্তু এখনও কোনও লিখিত নির্দেশিকা হাতে আসেনি। তাই ব্যবসায়ীরা শুধু অপেক্ষা করছেন — সত্যিই বৈঠক হবে কি না, আর তাতে ফল মিলবে কি না!
প্রায় ৩৫-৩৮ বছর ধরে বিধান মার্কেটে ব্যবসা করছেন অরূপ নন্দীর মত অনেকেই বলছেন, ‘‘বছরের পর বছর ধরে সমস্যার তালিকা এক — পার্কিং নেই, টয়লেট নেই, জল জমে থাকে, মালিকানা নেই। নতুন বোর্ডে একটু হলেও ভরসা ফিরে এসেছে। হয়তো এবার পরিবর্তন আসবে।’’
তবে ইতিহাস বলছে — আশ্বাস এসেছে বহুবার, বাস্তবে বদল খুবই সামান্য। এবারও ব্যবসায়ীরা চোখ রাখছেন দিলীপ দুগ্গারের উপর — তিনি কি পারেন পুরনো সেই ভাঙা প্রতিশ্রুতির ইতিহাস ভেঙে নতুন কিছু গড়তে?
ঋত্বিক ভট্টাচার্য