হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। যা ভাবাচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকেও। কেন আপার বাগডোগরায়? জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীকের কথায়, সেখানে ডেঙ্গি মশার বংশবৃদ্ধি হচ্ছে মূলত জমা জলে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নজরে এসছে। কাল থেকে ডেঙ্গি দমনে আরো কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোভিড নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্য কর্মীরা বেশী ব্যস্ত হয়ে পড়ার সুযোগে ডেঙ্গির দাপট বেড়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক প্রলয় আচার্য্য। শুধু মহকুমার গ্রামীন এলাকাই নয়, পুর এলাকাতেও বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। পুরসভা এলাকাতেই আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছুঁই ছুঁই! পুরসভার ১, ২, ৪, ৫ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গির সংংক্রমণ ছড়িয়েছে। আরো কয়েকটি ওয়ার্ডেও ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই পুরসভা এক দফা বৈঠকও করেছে পদস্থ কর্তাদের নিয়ে। শহরজুড়েই বেড়েছে মশার দাপট। বিভিন্ন ওয়ার্ডেই চলছে মশা মারতে কামানের প্রয়োগ।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনা সতর্কতার বাঁধন আলগা, দুই জেলা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই যাচ্ছে!
আরও পড়ুন: রাজ্যে একদিনে করোনায় মৃত বেড়ে ১৪, কলকাতায় দৈনিক সংক্রমণ ২০০ পার!
এদিকে আপার বাগডোগরার পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার দাবী জানিয়ে আজ স্বাস্থ্য কর্তার সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, নতুন করে যাতে এলাকায় আর না ছড়ায় সেবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে স্বাস্থ্য দপ্তর। অন্যদিকে ডেঙ্গি নিয়ে শাসককে বিঁধলেন প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তাঁর দাবী, পুর এলাকাতে স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে যে সমীক্ষা চালাতো তা গত ৬ মাস ধরে বন্ধ। আর এখন ওদের মনে হয়েছে যে ডেঙ্গি বাড়ছে! যদিও জেলা স্বাস্থ্য কর্তার দাবী, কোভিডের মতো ডেঙ্গিও দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।