প্রসঙ্গত, টানা বৃষ্টির জেরে হড়পা বানে সম্পূর্ণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সিকিম এবং বাংলার যোগাযোগকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। আর সে কারণেই পর্যটকদের বিকল্প পথ দিয়ে নামিয়ে আনতে লাগছে অতিরিক্ত সময়।সিকিমে এই মুহূর্তে আটকে রয়েছেন প্রায় ২০০০ পর্যটক। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হতেই পর্যটকেরা ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছেন সমতলে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক যেহেতু নষ্ট হয়ে গেছে তাই সিকিমে রসদ পৌঁছতেও হচ্ছে সমস্যা।
advertisement
আরও পড়ুন: কানের ছিদ্র বেড়ে দুল পরা বন্ধ? একটা উপাদানেই হবে বিরাট কামাল… আপনার বাড়িতেই আছে কিন্তু
সূত্রের খবর, পুরোটা না হলেও সিকিমের কিছু এলাকায় রাস্তা থেকে ধ্বংসস্তূপ সরানো হয়েছে। আটকে থাকা পর্যটকদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন প্রশাসনের কর্মীরা। প্রশাসনের দাবি, পর্যটকরা সকলেই সুস্থ রয়েছেন।
তবে গ্যাংটক থেকে পেডং আলগারা, লাভা, গোরুবাথান, ডামডিম, সেবক হয়ে আসা যাওয়া করা হচ্ছে শিলিগুড়িতে। এছাড়াও গ্যাংটক থেকে রানিপুল, সিংতাম, রংপো, নামথাং, নামচি, জোরথাং, সিংলা হয়েও আরেকটি রুট রয়েছে৷ এই দুই রুটেই গাড়ি চলাচল করতে পারছে৷ গ্যাংটক-লাভা-গরুবাথান হয়ে নামতে শুরু করেছে গাড়ি।পর্যটকেরা সিকিম থেকে এই রাস্তা দিয়েই আসছেন শিলিগুড়ি।
তবে সময় লাগছে লাগছে ৮-৯ ঘণ্টা। মহারাষ্ট্র থেকে পরিবারের সঙ্গে সিকিম ঘুরতে এসেছিলেন অজয় যাদব , তিনি বলেন, “আমরা যখন সিকিম গিয়েছিলাম তখন সমস্ত কিছু ঠিকই ছিল তবে দু চার দিনে যেভাবে বৃষ্টিপাত হয়েছে সেদিনের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাই আমাদের অনেকটা পথ ঘুরে আসতে হল। চার ঘন্টার জায়গায় ৮-৯ ঘণ্টা সময় লাগছে।’
অনির্বাণ রায়