আরও পড়ুন: ফের ঝাড়খন্ড-পুরুলিয়া সীমান্তে বাঘের উপস্থিতি , কি বলছে সাধারণ মানুষ!
পরিবারের অভিযোগ, বালুরঘাট ব্লকের পাগলিগঞ্জের এক এজেন্টের সঙ্গে এলাকারই প্রায় ৭-৮ জন যুবক কাজ করতে গিয়েছিল। এমনই বিগত নভেম্বর মাসের ৬ তারিখে এই গ্রাম থেকেই তামিলনাড়ুতে কাজে যান মঙ্গল হেমব্রম। তিনি ৯ তারিখে তামিলনাড়ু পৌঁছান। কিন্তু তারপর থেকেই তাঁর আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।স্থানীয় ওই এজেন্ট ফোন মারফত জানান স্টেশনে নামার পর থেকেই নিখোঁজ মঙ্গল হেমরম। গ্রামে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও পাঁচ মাস বয়সের একটি সন্তান। একই ঘটনা ঘটেছিল জোসেফ মুড়মুর ক্ষেত্রে। বিগত কয়েক বছর আগে কাজ করতে গিয়ে আর বাড়িতে ফিরে নাই। তাদেরও পরিবারের অভিযোগ থানায় জানানো হয়েছিল কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি প্রশাসন। তাঁর স্ত্রী ফুলকলি টুডু এখনও গোয়াতে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: আমেরিকা, নাইজেরিয়া সহ একাধিক বিদেশি প্রতিনিধি এলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে, তবে কারণ কী
একই গ্রামের বাসিন্দা সমীর দাস ২০২২ সালে দিল্লি তে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়েছিলেন স্থানীয় এক এজেন্ট তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু নিয়ে যাওয়ার পর থেকে সমীর দাসেরও আর কোন খবর পাওয়া যায়নি। তাই তালিকাটা বেশ দীর্ঘ। মঙ্গল হেমরম বা সমীর দাস নয়, এই গ্রাম থেকে বিগত কয়েক বছরে আরও অন্ততপক্ষে ৬-৭ জন পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন কি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে এজেন্টদের নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে? শ্রমিকরা হারিয়ে যাচ্ছে কেন? এমনই সব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের কাছে।
সুস্মিতা গোস্বামী





