এটি শিশুদের জন্য সাজানো হয় একাধিক শিক্ষামূলক ও আনন্দঘন কার্যক্রম। ‘নো ইয়োর হ্যাবিট্যাট’-এর মাধ্যমে নিজেদের আশপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশকে জানার সুযোগ পায় তারা। অডিও ও ভিডিওর সাহায্যে স্থানীয় নানা উদ্ভিদ ও প্রাণীর পরিচয় করানো হয়। পরিবেশ বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা, ট্রেজার হান্ট, নেচার ট্রেল, ট্রি হাগিং ও আর্ট কম্পিটিশনের মতো কার্যক্রমে অংশ নিয়ে শিশুদের মধ্যে প্রকৃতি সম্পর্কে আগ্রহ ও ভালোবাসা আরও গভীর হয়।
advertisement
এদিনের কর্মসূচিতে মোট ২৫ জন পড়ুয়া অংশগ্রহন করেন। FWN Foundation (Friends of Wildlife & Nature), শিলিগুড়ি বন্ধুচল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ও গিভ লাইভ সোসাইটির উদ্যোগে শিশু ও কিশোররা প্রকৃতিকে জানার পাশাপাশি বনভোজন ও করে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাগডোগরা এডিএফও রাহুলদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, “প্রকৃতি পাঠ আজকের সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে শিশুদের মোবাইল ও ইন্টারনেটের অপব্যবহার থেকে দূরে রেখে প্রকৃতির সঙ্গে যুক্ত করা দরকার। অবসর সময়ে স্ক্রিনে ডুবে না থেকে তারা যেন প্রকৃতির জ্ঞান অর্জন করে—এই লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।”
সব মিলিয়ে বলা যায়, ঘোষপুকুর রেঞ্জে আয়োজিত ‘স্ক্রিন টু গ্রিন’ কর্মসূচি শিশুদের কাছে শুধু একটি দিনের অনুষ্ঠান নয়, বরং প্রকৃতির সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক গড়ে তোলার এক গুরুত্বপূর্ণ পাঠ হয়ে উঠেছে। মোবাইল ও ডিজিটাল আসক্তির বাইরে এসে প্রকৃতিকে চেনা, ভালোবাসা ও সংরক্ষণের বার্তা এদিন হাতে–কলমে শিখেছে তারা। বন দফতর ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই ধরনের কর্মসূচি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পরিবেশ সচেতন করে তুলতে কার্যকর ভূমিকা নেবে—এমনটাই মত পরিবেশপ্রেমীদের।
Ricktick Bhattcharjee





