প্রায় একবছর আগে শুরু হওয়া এই অভিনব উদ্যোগে নতুন প্রাণ পেয়েছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। আম, জলপাই, কাঁঠাল, জারুল, পলাশ গাছে সাজানো স্কুল চত্বরে যখন কালবৈশাখীর পর পড়ে থাকতে দেখা যায় ডিম আর ছানা—হৃদয় ভেঙেছিল শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার। তখনই ঠিক হয়, এই বিদ্যালয়ই হবে পাখিদের নিরাপদ বাসস্থান। এই অবস্থার বদল আনতেই বছর খানেক আগে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক মিলে ভাবেন, পাখিদের জন্য মজবুত, নিরাপদ আশ্রয় তৈরি করতে হবে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সম্মতি নিয়ে শুরু হয় পরিকল্পনা।
advertisement
আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে হাতি তাড়তে যাওয়াই কাল! ডুয়ার্সে আবারও প্রাণ গেল তরতাজা যুবকের
পাখিদের কথা বোঝানো হয় ১১০০ পড়ুয়াকে। তারা এগিয়ে আসে আগ্রহ নিয়ে। প্রাক্তন ছাত্র অজয় রায় ও অভিজিৎ রায়ের সহযোগিতায় মাটির তৈরি ঢাকনাওয়ালা বাসা আনা হয় স্থানীয় পালপাড়া থেকে। স্কুলের ১১০০ ছাত্রছাত্রীই রংতুলিতে রাঙিয়ে তোলে সেই বাসাগুলি। এরপর দড়ি দিয়ে সেগুলো ঝুলিয়ে দেওয়া হয় গাছের ডালে ডালে। প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় ভৌমিক জানালেন, “প্রথমে ভয় ছিল পাখিরা আসবে তো? এখন দেখি প্রতিটি বাসা যেন একেকটি সংসার।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রসেনজিৎ রায় বলেন, “আমরা এখন আরও ফলের গাছ লাগাচ্ছি, মিড-ডে মিলের বাড়তি ভাত, বিস্কুটও রাখি ওদের জন্য।” আজ এই বিদ্যালয় শুধু শিক্ষার কেন্দ্র নয়, প্রকৃতির সঙ্গে সহাবস্থানের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। যেখানে প্রতিদিন শিশুদের বইয়ের পাশাপাশি শেখানো হচ্ছে ভালবাসা, সহানুভূতি আর পরিবেশ রক্ষার পাঠ।
সুরজিৎ দে





