কিন্তু আড্ডার সেই মেজাজ কি সত্যিই হারিয়ে গিয়েছে? বর্ধমান শহরে হয়ত ঐতিহ্যবাহী সেই কফি হাউস নেই। কিন্তু তাতে কী? আড্ডার রসদ খুঁজে নিতে বাঙালির জুড়ি মেলা ভার। তাই এই কনকনে শীতে কফির সঙ্গে নলেন গুড়ের মেলবন্ধনে এক অভিনব স্বাদ খুঁজে নিয়েছেন বর্ধমানবাসী। খোলা আকাশের নিচে, শীতের সন্ধ্যায় যখন নলেন গুড়ের সুগন্ধ কফির কাপ ভরে ওঠে, তখন বর্ধমানের জাতীয় সড়কের ধারে বেচারহাট এলাকায় অবস্থিত ছোট্ট একটি ক্যাফে মটকা তন্দুর চা-এ হয়ে ওঠে এক “কফি হাউস”। এখানে শুধু নলেন গুড়ের চা বা কফি নয়, আপনি পেয়ে যাবেন বিভিন্ন রকম ফ্লেভারের চা, স্ন্যাক্স সহ শীতের স্পেশাল কাবাব।
advertisement
আরও পড়ুন: তিন পুরুষ ধরে একই স্কুলের পড়ুয়া, স্বাধীনতার বহু আগে শুরু পথচলা! এই সরকারি স্কুল জেলার গর্ব
যা ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সকলের কাছে। ৩০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন নলেন গুড়ের কফি। আর ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন নলেন গুড়ের চা। দোকান মালিক বিশ্বজিৎ মালি বলেন, আমরা প্রায় ২ বছর ধরে শীতেকালে নলেন গুড়ের চা বিক্রি করি। যা সকলের কাছে খুব প্রিয় হয়ে ওঠে। এবার আমরা একটু নতুন ভাবে চেষ্টা করলাম নলেন গুড়ের কফি। এ ছাড়াও আমরা বিভিন্ন ধরনের চা, কাবাবসহ নানান আইটেম বিক্রি করি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কফি প্রেমীরা বলেন, আমরা শীতকালে নলেন গুড়ের পায়েস সহ নানান জিনিস খাই। তবে এই কফি প্রথম বার। যাতে কফি ও নলেন গুড়ের স্বাদ দুটোই আছে। প্রথম বার এমন জিনিস খেয়ে খুব ভাল লাগল। আসলে বাঙালির আড্ডা মানেই তো নতুনের সঙ্গে পুরাতনের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। ঠিক যেমন মটকা তন্দুর চা-এর এই নলেন গুড়ের কফি। যেখানে আধুনিক কফির তেতো স্বাদে মিশে যাচ্ছে গ্রামবাংলার খাঁটি ঐতিহ্যের মিষ্টতা। তাই শীতের আমেজে নিজের প্রিয়জন বা বন্ধুদের নিয়ে স্মৃতির পাতায় নতুন রঙ লাগাতে একবার ঢুঁ মারতেই পারেন বেচারহাটের এই ক্যাফেতে।





