এই মন্দির ঘিরে রয়েছে অনেক অজানা কথা। প্রচলিত আছে, আগে নাকি এটা শুধু নাকি শিব মন্দির ছিল। সেই শিব মন্দিরে শিবের মাথায় নাকি জল ঢালত জঙ্গলে থাকা হাতিরা। সুর করে জল নিয়ে এসে শিবের মাথায় জল ঢালত হাতিরা। যেহেতু সেনাবাহিনীর দ্বারা এই মন্দির তৈরি হয়েছিল তাই আগে তারাই শুধু মন্দিরের দেখভাল করত। তবে এখন মন্দিরের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন মন্দিদের পুরোহিত মহেন্দ্র ঢালি। প্রতি সোমবারই নিয়ম মেনে সেখানে পুজো হয়। তবে শ্রাবণ মাসে বড় করে পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। বহু দূরান্ত থেকে লোক জংলি বাবা শিব মন্দিরে দর্শন করতে আসেন।
advertisement
আরও পড়ুন: শ্রাবণ মাসের দ্বিতীয় সোমবারে রুদ্রদেব মন্দিরে ভিড় ভক্তদের! জল ঢালতে হাজির পুণ্যার্থীরা
মন্দিরের পুরোহিত মহেন্দ্র ঢালি জানান, ১৯৯১ সাল থেকে আমি এই মন্দিরের দায়িত্বে রয়েছি। যেহেতু জঙ্গলের একেবারে মাঝখানে এই মন্দির তাই আগে এত লোকের আনাগোনা ছিল না। তবে এখন সময়ের সঙ্গে এই মন্দির সকলের পরিচিত হয়েছে। অনেকে মানত করেছেন এই মন্দিরে। শ্রাবণ মাসে প্রচুর পুণ্যার্থীদের ভিড় হয়। পুজো দিতে আসা প্রার্থনা পাল জানান, আজ শিব ঠাকুরের মাথায় জল ঢাললাম। আমি প্রথমবার এই মন্দিরের পুজো দিতে আসলাম। জঙ্গলের মাঝখানে এমন মন্দির সত্যিই অদ্ভুত। বন বিভাগের তরফে ফ্রিতে টোটো পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এতে অনেকেরই সুবিধা হচ্ছে। বাগডোগরা রেঞ্জ অফিসার সোনম ভুটিয়া জানান, পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আমাদের এই পরিষেবা চালু রয়েছে। এছাড়াও বিকেল সাড়ে তিনটের দিকে আমরা মাইকিং করে দিচ্ছি, যাতে চারটের মধ্যে সবাই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে যেতে পারে।
অনির্বাণ রায়