Sawan 2024: শ্রাবণ মাসের দ্বিতীয় সোমবারে রুদ্রদেব মন্দিরে ভিড় ভক্তদের! জল ঢালতে হাজির পুণ্যার্থীরা

Last Updated:

Sawan 2024: একদা বৌদ্ধ মূর্তিকে শিব মূর্তি হিসেবে পুজো করা হত এই রুদ্রদেব মন্দিরে। শ্রাবণ মাসের দ্বিতীয় সোমবার উপলক্ষে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ল এখানে

+
রুদ্রদেব

রুদ্রদেব মুর্তি 

মুর্শিদাবাদ: আজ শ্রাবণ মাসের দ্বিতীয় সোমবার। মুর্শিদাবাদ জেলার শতাব্দী প্রাচীন শিব মন্দির রুপপুর রুদ্রদেব মন্দির। সোমবার সকাল থেকেই এই মন্দিরে ভিড় করেছেন বহু ভক্ত ও সাধারণ পুণ্যার্থীরা। নিজ নিজ মনস্কামনা নিয়ে ভক্তরা সকাল থেকেই দুধ, গঙ্গাজল ঢালছেন শিবের মাথায়।
মুর্শিদাবাদ জেলার শতাব্দী প্রাচীন শহর কান্দি। এই শহরের রুপপুরে অবস্থিত রুদ্রদেব মন্দির। একদা বৌদ্ধ মূর্তিকে শিব মুর্তি হিসেবে পুজিত করা হয় এই মন্দিরে। মুর্শিদাবাদ জেলার অধ্যাপক তথা ইতিহাসবিদ তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দ্বাদশ শতাব্দীতে তীব্বত বা নেপালের হিমালয় এলাকা থেকে জৈনক বৌদ্ধ তান্ত্রিক এই বঙ্গ দেশে আসেন। তাঁরা ময়ুরাক্ষী নদীর ধারে আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন একটি অক্ষর্ব বৌদ্ধ মূর্তি। সেখানে তন্ত্র সাধনা করতে থাকেন। কান্দির সিংহ বংশীয় জৈনক রুদ্রনাথ সিংহ তান্ত্রিক কামদেব ব্রহ্মচারী শিষ্যত্ব গ্রহণ করে তন্ত্র সাধনা লাভ করেন। পরবর্তীতে কামদেব ব্রহ্মচারীর মৃত্যুর পর রুদ্রদেব সিংহ অক্ষর্ব বুদ্ধ মূর্তিটিকে রুপপুরে এই জঙ্গলাকৃত জায়গায় নিয়ে এসে প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে যাকে কেন্দ্র করে মূল মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
advertisement
advertisement
আসলে বৌদ্ধদেবের পাঁচ রকমের মূর্তি আছে। এই মূর্তিটি অক্ষর্ব মূর্তি হিসেবে পরিচিত। কামদেব ব্রহ্মচারীর সঙ্গে আরও একটি মূর্তি ছিল যা কালরুদ্র ভৈরব। কালরুদ্র ভৈরব মূর্তি চুরি যায় ১৯৫০ সালের আগেই। তবে এই নিয়ে বিতর্ক আছে। কেউ বলেন চুরি হয়েছে, আবার কেউ বলেন গঙ্গা স্মান করাতে গিয়ে জলে পড়ে গিয়েছিল। জলে পড়ে যাওয়ার পরে কাটোয়ার কাছে নৈহাটি গ্রামে থেকে উদ্ধার করা হয়। সেখানেই গ্রামের সাধারণ মানুষ মূর্তিটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
advertisement
কালরুদ্র মূর্তিটি শিবের ভৈরব মূর্তি। যার বাহন কুকুর। কালরুদ্র ভৈরব নাম অনুসারে নামকরণ হয় রুদ্রদেব মন্দির। আবার কালরুদ্র নাম অনুসারে এই রুদ্রদেব মন্দির এবং রুদ্র সিংহ নাম অনুসারেও রুদ্রদেব বলা হত। এই দুটি মত‌ই সমানভাবে প্রচলিত। বর্তমানে এই বৌদ্ধ মূর্তিটি হরিদ্বার থেকে নিয়ে আসা হয়। তারপর আজও পুজো হয় বিভিন্ন সময়ে। বাঘডাঙা রাজ পরিবার ও জেমো রাজ পরিবার এই বর্তমান মন্দিরটি তৈরি করে ১৩০৯ সালে। পুর্ব দিকে ও পশ্চিম দিকে যে শিব মন্দির আছে সেই দুটি বাঘডাঙা রাজ পরিবারের ও দুটি জেমো রাজ পরিবারের তৈরি। এই শিব মন্দিরের দরজার উপরে টেরাকোটার কাজ আছে। বর্তমানে শুধু শ্রাবণ মাসের সোমবার নয়, বছরের অন্যান্য সময়য় এখানে পুজো করা হয়। তবে বেশি হয় রবিবার।
advertisement
কৌশিক অধিকারী
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Sawan 2024: শ্রাবণ মাসের দ্বিতীয় সোমবারে রুদ্রদেব মন্দিরে ভিড় ভক্তদের! জল ঢালতে হাজির পুণ্যার্থীরা
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement