আরও পড়ুন: অর্জুনের নিশানায় পার্থ’র মন্ত্রক! ব্যারাকপুরে সিং-ভৌমিক দ্বৈরথ
এই পরিস্থিতিতে কোচবিহারের প্রতিমা শিল্পীদের গলায় যেন শঙ্কার সুর। তাঁরা একের পর এক প্রতিমা তৈরি করলেও আদৌ শেষপর্যন্ত কতটা বিক্রি হবে, ঠিকঠাক দাম পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন। কারণ এখনও পর্যন্ত বড় কোনও প্রতিমার অর্ডার আসেনি কারখানাগুলিতে। এছাড়াও মাটি ও খড়ের দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে রীতিমত চাপের মুখে তাঁরা। তাই এবার পুজোর সময় মূর্তির দাম বৃদ্ধির সম্ভবনা প্রবল হয়ে উঠেছে।
advertisement
কোচবিহারের প্রতিমা তৈরির কারখানাগুলিতে মাটি আসে মূলত মারুগঞ্জ ও চিলাখানা থেকে। এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে মাটি আনা হয় অসমের গৌরীপুর থেকেও। প্রবীণ মৃৎশিল্পী বাদল পাল জানান, চলতি বছর প্রতিমা গড়ার কাঁচামালের দাম অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেড়েছে মাটির দাম। মাটি সহজে মিলছে না জেলার মধ্যে। এদিকে বিশেষ মাটি ছাড়া প্রতিমা নির্মাণ করা সম্ভব নয়। তাই শিল্পীদের চড়া দামে মাটি কিনতে হচ্ছে বাইরে থেকে। সেক্ষেত্রে কিছুটা মুনাফার আশায় দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে প্রতিমার। ফলে প্রতিমার দাম বাড়লে ঠিকঠাক ক্রেতা পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
আরেক মৃৎশিল্প সুজিত পাল জানান, এবার প্রতিটি প্রতিমার দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা আছে। এই চাপ সামলে মধ্যবিত্ত সাধারণ ক্রেতারা কতটা প্রতিমা কিনবেন তা নিয়ে এখন সংশয় দেখা দিয়েছে।
সার্থক পণ্ডিত





