আরও পড়ুন: বাস্তবের র্যানচো! চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের একের পর এক আবিষ্কার, আয়ুষের প্রতিভায় অবাক সকলে
বিদ্যালয়ের সাফল্যের মুকুটে নতুন পালক যুক্ত করল সপ্তমীর অনূর্ধ্ব ১৪ আন্তর্জাতিক ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে সুযোগ পাওয়ার মাধ্যমে। শ্রীলঙ্কায় আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাওয়া তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। বাবা রঞ্জিত টুডু প্রতিদিন জীবিকার জন্য টোটো চালান।
advertisement
আরও পড়ুন: দক্ষিণে ভ্যাপসা গরম, উত্তরে দুর্যোগের মাঝেই পুজোর আগে ফের ঘূর্ণাবর্ত! বৃষ্টি ভাসাবে রাজ্য
সামান্য জমি জমা নিয়ে সংসার চলে কষ্টে কষ্টে। কিন্তু এই অভাবই যেন সপ্তমীর ইচ্ছাশক্তিকে আরও দৃঢ় করেছে। মাটির মাঠ আর সীমিত সুযোগ সুবিধার মাঝেও ফুটবল ছিল তাঁর নেশা ও নিত্যসঙ্গী। প্রতিদিন পড়াশোনার ফাঁকে মাঠে ঘাম ঝরানো, কোচের নির্দেশ মেনে অনুশীলন সবই একটাই স্বপ্ন পূরণের জন্য। দেশের হয়ে খেলবে সে। গর্বিত করবে তাঁর জেলাকে।
এ বিষয়ে সপ্তমীর কোচ মঙ্গলি মার্ডি জানান, \”অনূর্ধ্ব ১৪ বছর বয়সী আন্তর্জাতিক ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে সপ্তমী সুযোগ পেয়েছে। যেটা শ্রীলঙ্কায় এবং পরবর্তীতে ডেনমার্ক এ হতে পারে। তাঁর দাবি যে সমস্ত পড়ুয়ারা ফুটবল খেলতে ইচ্ছুক তাঁরা যেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে ফুটবল কোচিংয়ে অংশ নেয়, যাতে করে ভবিষ্যতে সপ্তমীর মত আরও প্রতিভারা উঠে আসতে পারে।\”
ক্রীড়া বিশেষজ্ঞদের মতে, পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাতে ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দেওয়া এখন বিশেষ প্রয়োজন। এতে ছাত্র ছাত্রীদের মোবাইলের প্রতি আসক্তি অনেকটাই কাটবে। সপ্তমীর এই সাফল্য স্কুলের ছাত্রদের খেলাধুলাতে আরও বেশি করে অনুপ্রেরণা যোগাবে। শুধু তাই নয়, গোটা আদিবাসী সমাজের চোখে আজ গর্বের আলো। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার বিশেষ গুরুত্ব যে রয়েছে সেটা বাস্তব করে দেখিয়ে দিল স্কুল পড়ুয়া সপ্তমী।