এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মানিক ধর জানান, “প্রশাসনিক নজরদারির অভাবে নদীবক্ষে বেআইনি কৃষিকাজ চলছে প্রতিনিয়তই। রাসায়নিক সার ব্যবহার করার ফলে হারিয়ে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ নদীয়ালী মাছ। এছাড়া সুটুঙ্গা নদী ও মানসাই নদীর সংযোগস্থলে পুরসভা ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করেছে। যেখান থেকে সরাসরি নদীর মধ্যে প্লাস্টিক ও রাসায়নিক বর্জ্য মিশছে। যাতে নদীর দূষণের মাত্রা বেড়ে উঠছে আরও অনেকটাই। ফলে মাথাভাঙা শহরের ফুসফুসকে বাঁচাতে এই বিশেষ প্রয়াস নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। দ্রুত পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে নদীর দূষণ বন্ধ করা হোক।”
advertisement
আরও পড়ুন: শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, হজমশক্তি বাড়ায়! হাড় মজবুত করে, বৃদ্ধিতে সহায়ক এই চার খাদ্য
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মাথাভাঙ্গা পুরসভার চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামানিক জানান, “নদী দূষণের বিষয়টি ইতিমধ্যেই তাঁদের নজর রয়েছে। সচেতনতার প্রচার চালানো হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। তবে নদীর বক্ষে চাষ আমাদের বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেরও পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। ডাম্পিং গ্রাউন্ডটি ইতিমধ্যেই নদীর থেকে দূরে শহরের বাইরে সরানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সেটির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়ে এসেছে।” মাথাভাঙা নদী রক্ষা কমিটির সম্পাদক তন্ময় চক্রবর্তী জানান, “নদীর দূষণ রোধে পূর্ত দফতর, পুরসভা ও সেচ দফতরকে একসঙ্গে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। তবে নদীর দূষণ রোধ করা সম্ভব হবে খুব সহজেই।”
একটা সময়ে মানসাই নদীর বোরোলি মাছ প্রায়শই বাজারে বিক্রি হতে দেখা যেত। স্বাদের দিক থেকে সেগুলি যেমনি ছিল অসাধারণ। তেমনই পুষ্টিগুণও ছিল অনেকটা বেশি। তবে বর্তমান সময়ে এই সুস্বাদু মাছ প্রায় দেখতেই পাওয়া যায় না। তাইতো অবিলম্বে নদীর দূষণ রোধ করতে এই বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যিক বলে জানাচ্ছেন বহু মানুষ। যাতে নদীগুলিকে আবার পুনরায় আগের চেহারায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়।
Sarthak Pandit





