এলাকার বাসিন্দা বাদশা শেখ জানান, ” তিন বছর আগে থেকেই নদী ভাঙনের চিন্তায় রয়েছেন এলাকার মানুষেরা। বারবার আবেদন জানিয়ে অবশেষে নদীর ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু নদীতে জনস্তর বেড়ে যাওয়ায় সেই কাজ শুরু হতেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যদি কাজ আরও কিছুদিন বন্ধ থাকে তবে নদীতে ভাঙন চলতেই থাকবে। তাই স্থানীয়রা চাইছেন সাময়িক ভাবে নদীর ভাঙন রোধের ব্যবস্থা হোক যাতে কাজ না শুরু হওয়া পর্যন্ত ভাঙন আর না হয়। অভিযোগ, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না এখনও পর্যন্ত।”
advertisement
এলাকার আরও দুই বাসিন্দা একাব্বর আলি ও নলেন্দ্র বর্মন জানান, “নদীর ভাঙন দেখতে প্রাক্তন জেলাশাসক নিজে এলাকায় এসেছিলেন। তিনি বলেন, নদী ভাঙন রোধে বাঁশের খাঁচা বসানো হবে এবং বাঁধের কাজ শুরু হবে। তবে সেই প্রতিশ্রুতির দীর্ঘ সময় পর কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু নদীর ভাঙন রোধ করা এখনও সম্পূর্ণ সম্ভব হয়নি। নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় কাজ শুরু হয়েই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে ভাঙন চলছেই এলাকায়। প্রতি মুহূর্তে নদী অল্প অল্প করে এগিয়ে আসছে লোকালয়ের দিকে। তাই স্থানীয়রা চিন্তায় রয়েছেন।”
ইতিমধ্যেই বহু বিঘা জমি চলে গিয়েছে নদীর গর্ভে। অভিযোগ, ভাঙনের জেরে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের কোনও প্রকার সহায়তা মেলেনি আজও। তাই কার্যত দিশেহারা এলাকার মানুষজন। চলতি বর্ষার আগে বাঁধের কাজ না হলে বিপদে পড়তে হবে স্থানীয়দের।
Sarthak Pandit





