যখন তখন নদীর জল ঢুকে পড়ে গ্রামে। ভাঙনের কবলে পড়ে এলাকার কৃষি জমি। এই চিত্র প্রতিবছর বর্ষা এলেই দেখা যায়।এখানেই থেমে নেই সমস্যা। কাঁটা নদীর ওপর মজবুত সেতুর অভাব রয়েছে। পাটকাঠি, বাঁশ ও কাঠের ভাঙাচোরা সাঁকোর ওপর ভরসা করে প্রতিদিন স্কুলে যায় ছাত্রছাত্রীরা। এই সাঁকো যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ, বলছে পড়ুয়ারা। সেতু দিয়ে আর চলাচল না করা গেলে নদীতে ভাসে ভেলা। দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়েই প্রতিদিন কাঁটা নদী পার হতে হয় পড়ুয়া থেকে শুরু করে আমজনতাকে।
advertisement
আরও পড়ুন : দেশি মাগুর চাষ করে বিপুল লাভ ! দেখে নিন কীভাবে ?
খাদিজা ভূতকুরা গ্রামের এক কিলোমিটার দূরে মাতালহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গৌড় সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়তে যায় বহু ছাত্রছাত্রী। নদীতে জল বেড়ে গেলে বানানো হয় কাঠের ভেলা। এমনিতে জল কম থাকলে হাঁটু জলে হেঁটে কিংবা সাইকেল কাঁধে নিয়ে পাড়ি দেন গ্রামের সকলে। স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন ১০ টাকা দিয়ে ভেলায় চেপে অন্য পাড়ে যেতে হয় তাঁদের। পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। তখন সাঁতার কেটে অন্যজনকে উদ্ধার করেন তাঁরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই পরিস্থিতি সম্পর্কে জেলা পরিষদের সদস্য শ্রাবণী ঝাঁ বলেন, “নির্বাচনী প্রচারে এসে এই এলাকার পরিস্থিতি দেখেছি। সাঁকো ধরে ছাত্রছাত্রীদের পার হতে দেখে মর্মাহত হয়েছি। স্কুল ব্যাগ মাথায় নিয়ে কীভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করছে তারা, তা নিজের চোখে দেখেছি। দ্রুত একটি সেতু নির্মাণ, সহ নদী বাঁধের জন্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলব।”