কিন্তু বর্তমানে জেলার বিভিন্ন প্রান্তেও এর চাষ হচ্ছে। সুগন্ধি ও স্বাদের জন্য তুলাইপাঞ্জি ও চিনি আতপ চালের চাহিদা রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়েছে। এবিষয়ে ক্রেতাদের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, পূর্বে তুলাইপাঞ্জি ১২০ টাকায় মিলত, এখন ১৭০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তাই বাধ্য হয়ে ৮০ টাকায় বাসমতি নিতে হয়েছে। কাটারি চালের দামও এক বছরে ৬৫ থেকে ৯৫ টাকায় পৌঁছেছে। কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এ বছরের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : আবার নতুন করে উৎসবের প্রস্তুতি শুরু! জগদ্ধাত্রীর আরাধনার মেতে উঠবে কান্দির পাল বাড়ি, চলছে ২০০ বছর ধরে
আবহাওয়ার খামখেয়ালির জেরে উৎপাদন কমে যাওয়া, সরকারি মজুদ হ্রাস, দালাল ও ফড়েদের দৌরাত্ম্য এবং পরিবহন খরচ বৃদ্ধি প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে। পাশাপাশি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিশ্ববাজারে চালের চাহিদা বৃদ্ধি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। বিগত বছর ভাল মানের যে তুলাইপাঞ্জি চালের দাম ছিল প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১৩০ টাকা, তা এখন বাজারে ২০০ টাকায় বিকোচ্ছে। চিনি আতপ চালও ব্যতিক্রম নয়। গতবছর ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হওয়া চাল এখন ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় মিলছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ফলস্বরূপ, সাধারণ ক্রেতারা সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছেন। তাদের দাবি, কালোবাজারি হচ্ছে কিনা প্রশাসন খোঁজ নিক। যদি দ্রুত প্রশাসনিক উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তবে উৎসবের মরসুমে নিত্যপ্রয়োজনীয় চালের দাম আরও বাড়তে পারে, যা সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের খরচে বড় ধাক্কা দেবে। তবে, শস্য বিশেষজ্ঞদের মতে, দামের ওঠানামা মূলত নির্ভর করে জোগান ও চাহিদার ভারসাম্যের উপর। এবার উৎপাদন কম হওয়ায় সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। আমন ধান উঠলে আশা করা যায় দাম কিছুটা স্থিতিশীল হবে।





