কারণ গণ্ডারদের জীবনশৈলী অনুসারে প্রতিটি পুরুষ গণ্ডার পিছু তিনটি করে মাদি গণ্ডার থাকা উচিত। সেটাই আদর্শ সমানুপাতিক হার। কিন্তু দুই জেন্ডারের মধ্যে তফাত প্রায় না থাকায় সঙ্গীনী দখলের লড়াই বাড়ার প্রবণতা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন গণ্ডার বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও যুগের পর যুগ ধরে একই জিনে প্রজননের ফলে জলদাপাড়ার এক শৃঙ্গ গণ্ডারদের মধ্যে জিনগত বৈচিত্র্যের অভাব নিয়েও অদূর ভবিষ্যতের কথা ভেবে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিশারদেরা।
advertisement
আরও পড়ুন: হতে পারে জেল-জরিমানা! বিশ্বজুড়ে শিশুদের এই নামগুলি রাখা বেআইনি-নিষিদ্ধ, সাবধান! কোন কোন নাম জানেন?
তবে গত চার বছরের পরিসংখ্যান যাচাই করলে দেখা যায় যে, সঙ্গীনী দখলের লড়াইয়ে নেমে কমপক্ষে পাঁচটি পূর্ণবয়স্ক গণ্ডারের মৃত্যু হয়েছে জলদাপাড়ায়। আর জখম হয়ে এলাকা ছাড়া হতে হয়েছে একাধিক গণ্ডারকে। সেই অর্থে বিশেষজ্ঞদের আগাম অনুমান অনেকটাই মিলে গিয়েছে। তবে বন দফতর আশাবাদী জানুয়ারি মাসের সুমারির পর জলদাপাড়ায় এক শৃঙ্গ গণ্ডারের সংখ্যা অনায়াসে ট্রিপল সেঞ্চুরি পার করে ফেলবে। আসছে বছরের গণনাতেও আগের বারের মতোই জঙ্গলের ট্রানজিট রুট ধরে সরাসরি দেখার ভিত্তিতে গণনা করা হবে।
আরও পড়ুন: সন্তানকে KVS-এ ভর্তি করতে চান? কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে পড়ানোর খরচ কত-কীভাবে আবেদন করবেন জানুন
তাতে ব্যবহার করা হবে ক্যামেরা ও গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম ডিভাইস। সঙ্গে গণ্ডার বিষ্ঠার ডিএনএ স্যাম্পলিংও করা হবে। ওই সুমারির স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য এবারেও বনকর্মীদের সঙ্গে সুমারিতে অংশগ্রহণ করবেন গন্ডার বিশেষজ্ঞসহ পরিবেশ প্রেমি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। জলদাপাড়া বনবিভাগের ডিএফও পারভিন কাসোয়ান জানান ‘আমরা ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে জলদাপাড়ায় গণ্ডার সুমারি করার প্রস্তাব পাঠিয়েছি। সবুজ সংকেত মিলে গেলেই কাজ শুরু করা হবে।’
Annanya Dey