কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, স্থানীয়রা দাবি করছেন তিনি এ এলাকার বাসিন্দা নন, এমনকি বহুজনের মতে, তিনি বাংলাদেশের নাগরিক! চন্দনের পরিচয়ে পিতার নামের জায়গায় লেখা গোবিন্দ দাস। কিন্তু এখানেও রয়েছে রহস্য! জানা গেছে, গোবিন্দ দাস আসলে চন্দনের দাদা।
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গোবিন্দ দাসকে চেনা গেলেও চন্দন দাসকে কখনও এলাকায় দেখা যায়নি, এমনকি কোনও নির্বাচনেও তাকে ভোট দিতে দেখা যায়নি। প্রাক্তন বিএলও হায়দার আলি জানিয়েছেন, ‘আমি বহু বছর ধরে এই বুথের দায়িত্বে ছিলাম। গোবিন্দ দাসকে চিনি, কিন্তু চন্দন দাসকে কখনও দেখিনি। বারবার নাম কেটে দেওয়ার চেষ্টা হলেও তা সফল হয়নি।’
আরও পড়ুন-বলুন তো, ‘বোতল’-এর বাংলা কী? ৯৯% মানুষই জানেন না আসল উত্তর, জানলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি!
গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শ্যামল চন্দ্র রায় জানিয়েছেন, ‘চন্দনের নাম কাটা নিয়ে আগেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। তবে কীভাবে এখনও নাম থেকে যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশাসনেরও কপালে ভাঁজ।’ জানা গেছে, এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই ব্লক নির্বাচন দফতর বিএলও-র সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করেছে এবং ইতিমধ্যেই ৭ নম্বর ফর্মে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, নির্বাচন কমিশন এবারে কড়া পদক্ষেপ নেয় কি না, নাকি এক বিদেশির নাম আবারও থেকে যাবে ভারতের ভোটার তালিকায়
সুরজিৎ দে