এই বিড়ালটি হিমালয় এবং দক্ষিণ চীন, মালয় উপদ্বীপ থেকে ফিলিপাইন এবং ইন্দোনেশিয়ান দ্বীপপুঞ্জ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রেইন ফরেস্টে বাস করে। এই এশিয়ান পাম সিভেট ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। এই এশিয়ান পাম সিভেটপাল্পি ফল, পোকামাকড় এবং ইঁদুর, টিকটিকি, ছোট সাপ, ব্যাঙ ইত্যাদি খেয়ে বেঁচে থাকে।
আরও পড়ুনTourism Place: শীত পড়তেই আনাগোনা বাড়ছে পর্যটকদের! এই মন্দির যেন পর্যটন ও আধ্যাত্মিকতার মেলবন্ধন
advertisement
গন্ধগোকুল দ্বারা মূল্যবান বিভিন্ন সুগন্ধী ও কফি তৈরি করা হয়। এদের গ্রন্থি থেকে পিচ্ছিল কস্তুরিমৃগ নিঃসৃত পদার্থ থেকে একধরনের তেল পাওয়া যায় যা থেকে মূল্যবান সুগন্ধি তৈরি করা হয়। শুধু তাই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফি তৈরি হয় এই গন্ধগোকুলের মল থেকে। তাই এই গন্ধগোকুলের চাহিদা প্রচুর।
জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ শহরের বারদুয়ারি হাট সংলগ্ন এলাকায় এই লুপ্তপ্রায় এশিয়ান পাম সিভিটটি একটি ছোট খাঁচায় বন্দি অবস্থায় পাচারের জন্য নিয়ে আসা হয় ৷ পশুপ্রেমী সংস্থার এক সদস্য গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে হানা দেন ৷ একটি লোকের হাতে খাঁচায় বন্দি অবস্থায় গন্ধগোকুলটিকে দেখতে পান সংস্থার এক সদস্য ৷
পশুপ্রেমী সংস্থার সদস্য ওই ব্যক্তিকে প্রশ্ন করেন গন্ধগোকুলটিকে নিয়ে ৷ প্রশ্ন করা হয়, তিনি সেটিকে নিয়ে কী করবেন ৷ জবাবে ওই ব্যক্তি জানান,প্রাণিটিকে বিক্রি করবেন ৷
পশুপ্রেমী সংস্থার সম্পাদক গৌতম তান্তিয়া বলেন, “প্রাণীটি একেবারেই বাচ্চা ৷ বন দফতর এবার সেটির পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে ৷ প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও করাবেন তাঁরা ৷ এশিয়ান পাম সিভিট বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের তালিকায় সিডিউল-২ এর অন্তর্ভুক্ত ৷ বনাঞ্চল কমে যাওয়ায়, এদের অস্তিত্ব সংকট দেখা দিয়েছে ৷”
পিয়া গুপ্তা






