এদিন ভোররাতে বালুরঘাট শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পাওয়ার হাউস এলাকায় এই নীলগাই দেখতে পান কয়েকজন। সেইসময় প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে পড়েছেন অনেকেই। পাওয়ার হাউস এলাকা থেকে পুলিশ লাইন পর্যন্ত একটি নীলগাইকে ইতস্তত ভাবে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। এমন একটি বৃহদাকার প্রাণীকে দেখে সকলেই ভেবেছিল হয়তো হরিণ। অনেকে আবার বলেন বাছুর। যদিও এটি যে আসলেই নীলগাই তা প্রথমে দেখে ঠাওর করতে পারেননি অনেকেই। কিছুক্ষণ পর সেই নীলগাই শহরের গলিতে ঢুকে যায়। এরপর আর তার খোঁজ মেলেনি। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। শেষে বন দফতরের কর্মীরা প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে বর্ণনা ও বিবরণ শুনে চিনতে পারেন ওটি আসলে বিরল প্রজাতির ‘নীলগাই’।
advertisement
আরও পড়ুন : নাটোরের রানি ভবানীর তৈরি প্রাচীন মন্দির, সতীপীঠ নলাটেশ্বরীতে অগণিত ভক্ত সমাগম
বনদফতর সূত্রে জানা যায়, “মূলত এরা বিরল প্রজাতির তৃণভোজী প্রাণী। তবে নীলগাইটি কোথা থেকে এসেছিল তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। নীলগাই-এর সন্ধানে কর্মীরা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে খোঁজ চালাচ্ছেন।”
একদিকে শহরবাসীর যেমন ভয় ছিল, তেমনই প্রাণীটিকে নিয়ে কৌতূহলও তৈরি হয় স্থানীয়দের মধ্যে। সকালে খবর পেয়েই বন দফতর ওই নীলগাইটি উদ্ধারের জন্য শহর-সহ শহর সংলগ্ন বিভিন্ন জঙ্গলে খোঁজ করে তল্লাশি চালান। তবে এখনও পর্যন্ত প্রাণীটির কোনও হদিস মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। এদিকে এরই মধ্যে তপনের দিকে আরও একটি নীল গাইয়ের দেখা মিলেছে বলে জানতে পারা গিয়েছে। কিন্তু, আচমকা জেলায় নীলগাই কোথা থেকে এল তা নিয়ে ধন্ধে বন দফতর। পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন দফতরের কর্মীরা।