আলিপুরদুয়ার জেলা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ২০তম জেলা হিসাবে ২০১৪ সালের ২৫ জুন জলপাইগুড়ি জেলা থেকে বিভক্ত হয়ে নতুন রূপে স্থাপিত হয়। এই জেলা প্রধানত গ্রামীণ জনসংখ্যা নিয়ে গঠিত। এর মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশেরও তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। জেলাটি রাজবংশী, রাভা, মেচ, সাঁওতাল, বোরো, টোটো এবং ওরাওঁর মত বিভিন্ন জাতিগত উপজাতির এলাকা। যা এই জেলাকে আরও বৈচিত্রময় পরিণত করে।
advertisement
আরও পড়ুন: মালপোয়া নয়, এই মিষ্টির নাম পোয়ারুটি, অপূর্ব স্বাদ, নববর্ষে বানিয়ে ফেলুন, রইল রেসিপি
বাংলার পাশাপাশি এই জেলায় হিন্দি, নেপালি, সাদরি, ওরাওঁ, সাঁওতালি, রাভা, মুন্ডা প্রভৃতি ভাষাও প্রচলিত। এই জনজাতির কৃষ্টি ও সংস্কৃতি আলাদা। যা একটি গবেষণার বিষয়ও। এই জনজাতির মানুষদের নাচ, গান একটি এলাকাতেই সীমাবদ্ধ থাকতে দেখা যায়। এই সংস্কৃতি যাতে বড় মঞ্চ পায় তার জন্য নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন রামকুমার লামা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তিনি জানান, আলিপুরদুয়ার জেলা মানেই মানুষ বোঝেন জঙ্গল, চা বাগান ও পাহাড়। তবে পর্যটন ক্ষেত্র ছাড়াও সংস্কৃতি বৈচিত্রময় এই এলাকার। তিনি আরও জানান, “পর্যটন স্থান ঘুরে বেরোনোর পাশাপাশি কোন কোন স্থানে জনজাতির নাচ, গান দেখানো হয়। তবে তা কোন জনজাতির নাচ, গান দেখানো হল তা নিয়ে বিস্তর জানতে পারেন না কেউই। এই জন্য আমাদের কর্মশালা। জেলা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ রাখব যাতে কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বিষয়ে আলাদা কিছু ভাবা হয়। তাহলে অনেক শিল্পী নিজের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবে।”
Annanya Dey