প্রসঙ্গত, রাখি বন্ধন উৎসব মানে একে অপরকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে বেঁধে রাখার একটি আনুষ্ঠানিক প্রয়াস মাত্র। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ রোধ করতে কবিগুরু কলকাতা, ঢাকা ও সিলেট থেকে কয়েক হাজার হিন্দু ও মুসলিম ভাই-বোনেদের একত্রিত করে রাখি বন্ধন পালনের আবেদন জানিয়েছিলেন। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর ভাদ্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে খোলা বাজারে পসরা সাজিয়ে বিভিন্ন ধরনের রাখি বেচাকেনা করতে দেখা যায় দোকানিদের। তবে, এই বছর বাজারের দোকানে নয়, ক্লে দিয়ে রাখি তৈরি করে ভাল অর্ডার পাচ্ছেন বলেও জানান তিনি। তাই চাহিদা ব্যাপকভাবে থাকায় ইন্দ্রানীদেবী রীতিমতন রাত দিন এক করে তৈরি করছেন তাঁর হাতে তৈরি রাখি।
advertisement
আরও পড়ুন: নেশামুক্ত ভারত গড়তে সাইকেলে কেদারনাথ যাত্রা
এই বিষয়ে রাখি বিক্রেতা ইন্দ্রানী সরকার জানান, ছোট থেকেই আঁকার প্রতি তাঁর ভালবাসা রয়েছে। প্রায় দু’বছর ধরে ফেব্রিক ও তুলির টানে ফুটিয়ে তোলেন বিভিন্ন জিনিসের উপর রকমারি ডিজাইন। প্রথম অবস্থায় তেমন চাহিদা না থাকলেও বর্তমানে তাঁর হাতে তৈরি ডিজাইনের চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়েছে। চলতি বছরে ক্লে ও ফেব্রিক দিয়ে বিভিন্ন জিনিসের আদলে তৈরি এই রাখি একটু ভিন্ন ধরনের। যা খুব সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণ করছে সকলের। দামও সাধারণ মানুষের আয়ত্তের মধ্যেই। মাত্র ৩০ টাকা থেকে ৮০ টাকার মধ্যেই। ফলে সকলেই সাধ্যমত রাখি কিনতে পারছেন।
অনেকে মনে করেন, উল বা ফুলের রাখির পরিবর্তে ক্লে দিয়ে তৈরি রাখি কেনাই ভাল। কারণ অন্য সব রাখি পরালে কিছুদিন পরেই তা সকলেই খুলে ফেলে। এমনকি ফুলের রাখি নষ্ট হয়ে যায় সহজেই। কিন্তু এই রাখি একবার পরালে খুলতে মন চাইবে না। খুললেও তা ফেলে না দিয়ে সযত্নে রেখে দেবেন দাদা ও ভাইয়েরা। এমনকি, সচরাচর বালুরঘাটে দেখা যায় না বললেই চলে। তাই প্রতিবার রাখিতে কিছুটা নতুনত্ব থাকলেও এবছর শহরবাসীর নজর কাড়ছে ইন্দ্রানীদেবীর তৈরি রাখি।
সুস্মিতা গোস্বামী