রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জ অফিসের তরফে প্রকৃতিবীক্ষণ কেন্দ্রের ভিতর গড়ে তোলা হয়েছে অর্কিড হাউস। বক্সা জঙ্গল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার-এর আস্তানা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে বেশি। কিন্তু বক্সায় অর্কিডের অস্তিত্ব রয়েছে। যা হয়ত অনেকেরই অজানা। প্রায় ৮০ রকমের অর্কিডের অস্তিত্ব রয়েছে বক্সা পাহাড়ে।সবকটি অর্কিড গাছই বেড়ে উঠছে বনদফতরের অর্কিড হাউসে।পর্যটকদের কাছে এই জায়গাটি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে বলে দাবি রাজাভাতখাওয়ার রেঞ্জ অফিসার অমলেন্দু মাঝির।
advertisement
আরও পড়ুনCoronavirus News: ফের করোনার চোখ রাঙানি! আগে থেকেই জেনে নিন কী খাবার খেলে বাঁচা যাবে এই রোগ থেকে
এই বিষয়ে তিনি জানান, “বক্সা পাহাড়ে অর্কিডের অস্তিত্ব রয়েছে,এই বিষয়ে পর্যটকেরা জানতে পারবেন।অর্কিড হাউসটি রাজাভাতখাওয়ার অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে।অর্কিড গাছের পরিচর্যা সকাল সন্ধ্যা নেওয়া হয়।কী কী অর্কিড রয়েছে বাইরের বোর্ডে তাদের নাম এবং এলাকায় কী নামে এগুলি পরিচিত তা লেখা রয়েছে।”
বক্সা এক রহস্যে মোড়া বইয়ের মতই। যতই গভীরে প্রবেশ করা যায় ততই বাড়তে থাকে জ্ঞানের পরিধি। বক্সার আনাচে কানাচে লুকিয়ে রয়েছে অজানা জন্তু, উদ্ভিদ।রাজাভাতখাওয়ার অর্কিড হাউসে গাছগুলি রাখা হয়েছে পলিহাউসে।অর্কিড গাছে মাটির পাশাপাশি কাঠ কয়লা,ইটের টুকরো দেওয়া রয়েছে।পাশাপাশি পলিহাউসটি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যাতে তার তাপমাত্রা থাকে ১০-৩০° সেলসিয়াসের মধ্যে। অতিরিক্ত জল অর্কিড গাছের গোড়ায় জমতে দেওয়া ঠিক নয়। সেই কারণে নালার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাখা হয়েছে আলোর ব্যবস্থা।খুব কম সময়ে এই অর্কিড হাউসটি গড়ে তোলা হয়েছে।এই অর্কিড গাছগুলিতে ফুল শীঘ্রই ফুটবে বলে আশাবাদী বনদফতরের কর্মী ও আধিকারিকরা। মুসকান,সুনেহেরিই হল এই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জের অর্কিড হাউসের ফুল ।
Annanya Dey