স্থানীয় বাসিন্দা শুভঙ্কর ভাদুড়ি জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে সংস্কার হয়নি এই স্টেশনের। প্ল্যাটফর্মের অধিকাংশ জায়গায় শেড নেই। রোদ-বৃষ্টিতে নাজেহাল হতে হয় যাত্রীদের। এছাড়াও রয়েছে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক লাইটের অভাব। ফলে রাতের অন্ধকার নামলেই যাত্রীদের পড়তে হয় চরম সমস্যায়। এই অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে বিভিন্ন সময় রেল কর্তৃপক্ষের কাছে স্টেশন সংস্কারের দাবিও জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন সংগঠন।”
advertisement
এলাকার রেল দাবি সমিতির সভাপতি সন্তোষ ভট্টাচার্য জানান, “এই স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়ে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস। বহুদিন ধরে এই প্ল্যাটফর্ম সংস্কারের দাবি জানাচ্ছেন যাত্রীরা। ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকার প্রয়োজনীয় শেডটুকুও নেই। নেই পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা। ফলে সমস্যায় পড়তে হয় বহু যাত্রীদের। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করেই যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয় স্টেশনে। যেটুকু অংশে শেড আছে,সেখানে লাইট নেই। শৌচালয় ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ওভারব্রিজ পেরিয়ে যেতে হয় ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে।”
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা হরিপদ মণ্ডল জানান, ” একটি এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করলে সেই প্ল্যাটফর্মের যে সুবিধাগুলি দরকার তার কিছুই নেই এখানে। প্ল্যাটফর্মের চারপাশ জঙ্গল ও আগাছায় ভরে যাচ্ছে। বামনহাট স্টেশন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বহুবার ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে এই সমস্ত সমস্যা নিয়ে।” তবে এই সব সমস্যা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি রেলের কোনও আধিকারিক।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে বামনহাট স্টেশন থেকে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস চলাচল শুরু হয়। তার পরেই বামনহাট স্টেশন সম্প্রসারিত করে সাজিয়ে তোলার কাজ করেছিল রেল। কিন্তু ২০১৯-এর পর আর কোনও সংস্কারের কাজ হয়নি স্টেশনে।
Sarthak Pandit