ক্লাসের মেঝে জলে ভেজা, ছোট ছোট পড়ুয়ারা কষ্টে পঠনপাঠন চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তারণী কুমার রায় জানিয়েছেন, “স্কুলঘরের টিনের ছাদ বহু জায়গায় ফুটো হয়ে গিয়েছে শিল পড়ে। তাই সামান্য বৃষ্টি হলেই জল ঢুকে পড়ে ঘরের ভেতর। বাধ্য হয়ে সেভাবেই ক্লাস নিতে হচ্ছে।” ছোটরা পা পিছলে পড়ছে মাঝেমধ্যে, তবুও ক্লাস বন্ধ নয়।
advertisement
আরও পড়ুন: হারিয়ে যাচ্ছে বন্যপ্রাণীদের প্রিয় সব খাবার! ফিরিয়ে আনতে অভিনব উদ্যোগ বন দফতরের
শিক্ষকরা বলছেন, শিক্ষা থামানো যাবে না, কিন্তু এই অবস্থায় ক্লাস করানোও দায়। বর্ষা এখনও আসেনি, পুরো বর্ষায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলেই আশঙ্কা। অভিভাবকরাও উদ্বিগ্ন। তাঁদের দাবি, স্কুলঘরগুলোর দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন। অবশ্য, বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জানানো হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ তরফে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি সদর বিডিও মিহির কর্মকার জানান, “খোঁজ নিয়ে আমরা দ্রুত সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি।” অন্যদিকে, জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর (ডিআই) শ্যামল চন্দ্র রায় জানিয়েছেন, “বিদ্যালয় থেকে যদি রিপেয়ারিং ফান্ডের জন্য কোন প্রপোজাল আসে, আমরা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করব।” স্কুলের ছাদে জল পড়ছে, আর নিচে ভিজছে ভবিষ্যতের স্বপ্ন। এদিকে বৃষ্টির মরসুম ঘনিয়ে আসছে,তাই তার আগেই প্রয়োজন দ্রুত পদক্ষেপ—এটাই চাওয়া বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের।
সুরজিৎ দে





