তিস্তা নদীর জল এবার পরিস্রুত হয়ে পানীয় জল রূপে সরাসরি শহরের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে যাবে। এই লক্ষ্যে জলপাইগুড়ি পুরসভার ‘আম্রুত’ প্রকল্পের কাজ জোরকদমে চলছে। প্রথম পর্যায়ে শহরের ১৯ হাজার বাড়িতে বসানো হচ্ছে পরিশ্রুত পানীয় জলের সংযোগ।
আরও পড়ুন: দোতলায় থেকেও টের পেলেন না, একতলায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়ি ফাঁকা করে দিল চোর!
advertisement
কিন্তু কীভাবে তিস্তা থেকে কীভাবে সরাসরি জল আসবে শহরবাসীর বাড়িতে? ইতিমধ্যে পাহাড়পুরের কাছে ইনফিলট্রেটর গ্যালারির মাধ্যমে তিস্তা থেকে জল তুলে পাঠানো হচ্ছে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে। সেখান থেকে রিজার্ভার ঘুরে পাইপলাইনের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে জলপাইগুড়ি শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে। তবে এক্ষুনি সেই জল সরাসরি পান করা যাবে না। পরবর্তী তিন মাস চলবে মান যাচাইয়ের কাজ। সব ঠিকঠাক থাকলে ডিসেম্বরেই মিলতে পারে ‘পানযোগ্য’ ছাড়পত্র।
এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি পুরসভার কার্যনির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার অসীম কুমার দে জানান, কিছু ফিটিং ও ভালভের কাজ বাকি আছে। সেগুলো দ্রুত শেষ হলেই প্রতিদিন ২২ মিলিয়ন লিটার পরিশ্রুত জল সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এই প্রকল্প চালু হলে জলপাইগুড়ির পুরনো জল সরবরাহের সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শহরের অনেকেই এখন ফিল্টার কিংবা বোতলজাত জলের উপর নির্ভর করতে বাধ্য হচ্ছেন। কারণ, আয়রনের মাত্রা বেশি হওয়ায় পুরনো জলের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন ছিলই। তবে আর কিছু মাসের মধ্যেই সেই দুশ্চিন্তায় ইতি পড়তে চলেছে। দ্বিতীয় দফায় আরও ৬ হাজার বাড়িতে জল সংযোগের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে রাজ্য সরকারে কাছে।