আজও মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে পিঠে খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। তবে সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে কমে গিয়েছে ঢেঁকির সংখ্যা। বর্তমানে গ্রাম বাংলায় আর তেমন দেখা মেলে না প্রাচীন এই চাল ভাঙার ঢেঁকি। কিছু কিছু গ্রামে দেখা যায় এখনও।
আরও পড়ুন- দিনেও জ্বলছে গাড়ির হেডলাইট, কুয়াশায় ঢাকা আলিপুরদুয়ার কাঁপছে ঠান্ডায়
মালদহের বামোনগোলা ব্লকের বেশ কিছু গ্রামে মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে ঢেঁকিতে চাল ভাঙতে দেখা গেল। মকর সংক্রান্তির একদিন আগে চরম ব্যস্ততা নজরে পড়ল গ্রাম গুলিতে। মূলত মহিলারা নতুন ধানের চাল থেকে গুড়ো তৈরি করছেন ঢেঁকিতে।
advertisement
চালকের জলে ভিজিয়ে ঢেঁকির সাহায্য গুঁড়ো করা হচ্ছে।কথায় আছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। তার মধ্যেই অন্যতম একটি মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে পৌষ পার্বণ।
পৌষ পার্বণ মানেই শীতের সময় নানান প্রকার পিঠে খাওয়া।মালদহের গ্রামীণ এলাকায় পৌষ সংক্রান্তিতে নতুন ধানের চাল দিয়ে পিঠে পুলি তৈরি করার মধ্য দিয়ে 'পৌষ পার্বণ' উদযাপিত হয়।
নতুন ধানের চাল খেজুরের গুড় এবং পাটালি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী পিঠে তৈরি করা হয়। যার জন্য প্রয়োজন হয় চালের গুঁড়ো, নারিকেল, দুধ আর খেজুরের গুড়।
এদিন এমনি ছবি ধরা পরলো বামনগোলা ব্লকে গ্রাম্য এলাকায় পিঠেপুলি তৈরিতে সরমজাম নিয়ে ব্যস্ত সকলে।সাধারণ গ্রামের মহিলারা সাত দিন ধরে ব্যস্ত থাকেন পিঠেপুলির সামগ্রী তৈরিতে।পুরনো রীতি মেনে মহিলারা ঢেঁকিতে চাল ভেঙে তারা পূজা-পার্বণের মধ্য দিয়ে পিঠে পুলি তৈরি করার কাজ শুরু করবে মকর সংক্রান্তিতে।
আধুনিকতার দাপটে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে ঢেঁকি। এখন আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে পিঠে থেকে চালের গুঁড়ো করা হয়। তবে এখনো গ্রামীন এলাকায় কিছু মানুষ ঐতিহ্যবাহী বাংলার এই শিল্পকলাকে ধরে রেখেছেন।
পুরাতন মালদহের এই গ্রামগুলিতে কয়েক পুরুষ ধরেই তারা ঢেঁকি মাধ্যমে চালের গুঁড়ো তৈরি করে পিঠে তৈরি করে আসছেন। তাদের হাত ধরেই আজও বর্তমান প্রাচীন বাংলার এমন ঐতিহ্য।
হরষিত সিংহ ( Harashit Singha)