কিন্তু, কেন এমন জলের দর আনারসের? জলপাইগুড়ি শহরের বাজার, মোড় বা গলিপথ—প্রতিটি জায়গায় দেখা যাচ্ছে হাতে ব্যাগ ভর্তি আনারস নিয়ে হাসিমুখে মানুষ। কেউ বলছেন, “এই দামে এত ভাল স্বাদের আনারস আগে কখনও পাইনি।” কেউ আবার জানালেন, “বাড়িতে সবাই আনারস খেতে ভালবাসে, তাই এত কম দামে পেয়ে আজ ১০টা নিয়ে যাচ্ছি!”
advertisement
আরও পড়ুন: আঁশটে গন্ধ…! মাছের আঁশ প্রক্রিয়াকরণ, নাকে রুমাল ঢেকেও নিস্তার নেই পথচলতিদের, প্রশাসনকে নালিশ
এই কম দামের কারণ হিসেবে বিক্রেতাদের একাংশ বলছেন, এবছর পাহাড়ি ও সমতলের বহু আনারস বিদেশে রফতানি না হওয়ায় স্থানীয় বাজারেই নামছে সেই ফল। ফলে চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি, আর তাতেই দাম নিম্নমুখী। অন্যদিকে, কিছু বিক্রেতাদের কথায়, অন্যান্য বছর বাংলাদেশেও আনারসের রফতানি করা হত ভারত থেকে। এবছর তা বন্ধ থাকায় এদেশে উৎপাদন বেড়েছে। নেপালে রফতানি হলেও অন্য বছরের তুলনায় তার পরিমাণও কম। সবমিলে এবছর এ দেশে যথেচ্ছ যোগান রয়েছে আনারসের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিক্রেতা জানালেন, “আজ এক হাজার পিস এনেছিলাম, সব শেষ! চাহিদা দেখে অবাক হচ্ছি। কাল আরও বেশি করে আনব।” শুধু দামই নয়, এই আনারসের স্বাদও মন জয় করছে সকলের। রসাল, মিষ্টি আর খেতে একেবারে টাটকা। ফলে উপচে পড়া ভিড় এখন জলপাইগুড়ির ফল বাজারে। এই মুহূর্তে মূল্যবৃদ্ধির বাজারে সাধারণ মানুষের জন্য এ এক স্বস্তির খবর! খুশির ছোঁয়া যেন একটা আনারসের মধ্যেই খুঁজে পাচ্ছেন ক্রেতা -বিক্রেতা উভয়েই।
সুরজিৎ দে