দয়া রামজোট সহ নকশালবাড়ির একাধিক এলাকায় বহু কৃষক আনারস চাষে যুক্ত। সাধারণত এখানকার আনারস বিধাননগর বাজারে বিক্রি হয় এবং সেখান থেকে তা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। চাষিরা জানান, প্রতিবছর ফলন ভাল হওয়ায় বাজারে ভাল দামও পাওয়া যেত। কিন্তু এবার শুরু থেকেই বৃষ্টির অভাবে ফলন কম, ফলে বাজারে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও দাম পাচ্ছেন না তারা।
advertisement
আরও পড়ুন: ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিলেন মেদিনীপুরের হানিফ, অভিজ্ঞতা শুনে অবাক সবাই! আর যেতে চাইছেন না কেউ
স্থানীয় চাষি ভজন বিশ্বাস বলেন, “ছয় বিঘা জমিতে আনারস চাষ করেছি। প্রতিবছর ভাল ফলন হয়, কিন্তু এ বছর বৃষ্টির অভাবে ফলন একেবারে খারাপ হয়েছে। এখন চিন্তা হচ্ছে খরচের টাকাটুকুও উঠবে কি না।” অন্যদিকে চাষি ঝুমা বিশ্বাস জানান, “এখন আমের সিজন চলছে। ফলে আনারসের বাজার চাহিদা কম। তার ওপর ফলন খারাপ হওয়ায় আমাদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ বেড়েই চলেছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শিলিগুড়ির চাষিদের অভিযোগ, আবহাওয়ার পরিবর্তনের পাশাপাশি বাজারে মূল্যহ্রাস তাঁদের এই সঙ্কটে ফেলেছে। সরকারি কোনও সহায়তা বা প্রণোদনা এখনও হাতে পাননি বলেও দাবি তাঁদের। সব মিলিয়ে, এবছর আনারস চাষ করে নকশালবাড়ির বহু কৃষক আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বাজারের মন্দা একযোগে আঘাত হেনেছে তাঁদের জীবনে।
ঋত্বিক ভট্টাচার্য