এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা আশু সরকার জানান, “শ্মশানের নদীর মধ্যে জমে আছে প্রচুর কচুরিপানা এবং নোংরা আবর্জনা। ফলে এখান থেকে প্রায়শই ভয়ঙ্কর পচা দুর্গন্ধ ছড়ায় এলাকা জুড়ে। এছাড়া শ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লি খারাপ হয়ে রয়েছে। শ্মশানে শব দাহ করতে আশা মানুষদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। কাঠে পোড়ানোর ফলে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে গোটা এলাকায়। আর গরিব দুঃস্থ মানুষদের কাঠ কিনে পোড়ানোর সাধ্য অনেক সময় থাকে না। তখন তাঁদের বিপাকে পড়তে হয়। এছাড়া ইলেক্ট্রিকের চাইতে কাঠে দাহ করতে সময় লাগে অনেকটা।”
advertisement
আরও পড়ুন: হাতে মাত্র ১৫ দিন! তারপরেই ভ্যানিশ হয়ে যাবে হাজার হাজার পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এলাকার আরও দুই বাসিন্দা সাগর সূত্রধর ও গোপাল সূত্রধর জানান, “যখন একাধিক শবদেহ দাহের জন্য আসে। তখন অনেকটা অপেক্ষা করে থাকতে হয় মানুষকে। আর এই সময়ে কাঠের দাম ও বাড়তি নেয় কাঠের দোকানের বিক্রেতারা। একটা সময় এই শ্মশান সুন্দর ভাবে পরিচর্চা করা হত। তবে এখন আর সেরকম ভাবে করা হয় না।” যদিও এই সকল বিষয় নিয়ে কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, “দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়গুলি তাঁর নজরে রয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই মর্মে প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। দ্রুত সকল সমস্যা সমাধান করা হবে। সেজন্য ইতিমধ্যেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।”
ইতিমধ্যেই পুরসভায় কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন বহু মানুষ। তাই স্থানীয় মানুষেরা পুরসভার পদক্ষেপের আশায় বুক বাঁধছেন। যত দ্রুত সম্ভব সমস্ত সমস্যার সমাধান করা হলে অনেকটা স্বস্তি পাবেন বহু মানুষ।
Sarthak Pandit





