এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা জলধর দাস জানান, নদী বাঁধ না থাকার কারণে জল বাড়লেই লোকালয়ে জল ঢুকছে। কিছুদিন আগে এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির একটি অংশ জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছিল। তখন চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় গোটা এলাকায়। বর্তমানে একটি অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো দিয়ে পুনরায় চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে নদী ভাঙন রোধ কিংবা লোকালয়ে জল যাতে না ঢোকে সে বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এই সমস্যা আরও অনেকটাই বাড়বে আগামী দিনে।
advertisement
আরও পড়ুন: কলেজে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দু’হাত ভরে আয়! বাড়িতেই ইনডোর প্ল্যান্ট চাষ করে যুবকের কামাল
এলাকার আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বুলবুলি দাস জানান, স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হচ্ছে। তবে এখানে সাঁকো তৈরি করলেও ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে যেকোনও মুহূর্তে আবারও একই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে গোটা এলাকায়। অবিলম্বে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা আজিদুল মিঁয়া জানান, এলাকায় দ্রুত নদী বাঁধ না দেওয়া হলে সমস্যা মিটবে না। যেভাবে নদীর জল বাড়ছে তাতে এলাকায় জল ঢুকে পড়ছে। সেই কারণে রীতিমতো আতঙ্কের মাঝেই থাকতে হচ্ছে সকলকে। গোটা এলাকার মানুষ এই সমস্যার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছেন।
তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত স্তরের কর্মকর্তারা খুব একটা বেশি সহায়তা করতে পারছে না। এই সমস্যা মোকাবিলায় যদি দ্রুত জেলা প্রশাসন উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ না করে তবে অদূর ভবিষ্যতে এই এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যা আরও কয়েক গুণ বেড়ে উঠবে বলেই আশঙ্কা।
সার্থক পণ্ডিত