প্যাশন ফ্রুট মূলত আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া সহ পাশ্চাত্যের দেশগুলিতে চাষ হয়। তবে অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাপকভাবে চাষ হয় প্যাশন ফ্রুট। বর্তমানে ভারতবর্ষের কেরালায় এই ফলের ব্যাপক চাহিদা। কেরালার সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই ফল খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। কেরালার সাধারণ মানুষ এই ফলের সঙ্গে ইতিমধ্যে পরিচিত হয়েছেন। মালদহের কার্তিক রাম “কেরালা থেকেই প্যাশন ফ্রুটের চারা গাছ নিয়ে এসেছিলেন। কার্তিক রাম বলেন, বিকল্প চাষ দীর্ঘদিন ধরেই করছি। মূলত ড্রাগন ফল চাষ করছি আমি। তবে প্যাশন ফ্রুট চাষ করে সাফল্য পেয়েছি। এই ফলের চাহিদা ব্যাপক। যদিও পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তেমনভাবে এই ফল চেনেন না। দক্ষিণ ভারতে এই ফল ব্যাপক পরিচিত।”
advertisement
প্যাশন ফ্রুটের গাছ লতানো হয়। বেড়া বা কোন মাচার উপর হয়। মালদহের মাটিতে এই গাছ হচ্ছে। গাছের বৃদ্ধি এমনকি ফল ভাল হচ্ছে। বছরে দুই বার ফল হয়।প্যাশন ফ্রুটের স্বাদ অনান্য ফলের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বাইরে থেকে ফল দেখতে অনেকটা মহাকালের ফলের মত। ফলের ভfতরে থকথকে জেলির মত খাদ্য অংশ রয়েছে। ছোট ছোট অনেক বীজ থাকে জেলির মধ্যে। ফলের স্বাদ টক। জেলি অংশ ও বীজ দুটোই খাওয়া যায়।
টক জাতীয় এই ফলের উপকারিতা অনেক রয়েছে। মালদহ জেলা উদ্যান পালন দফতরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, মালদহে প্রথম প্যাশন ফ্রুট চাষ করছেন একজন কৃষক। বেশ ভালভাবেই চাষ হচ্ছে। এই ফল সম্পর্কে সাধারণ মানুষ সচেতন হলে আশা করা যায় বিক্রি হবে। কারণ এই ফলের পুষ্টিগুণ প্রচুর রয়েছে। এই ফল ভারতের নয় মূলত বিদেশে চাষ হয়।
আরও পড়ুনMakar Sankranti Pithe: এটা পিঠে না রুটি? মকর সংক্রান্তিতে তৈরি হয় এই বিশেষ ডিশ!
এখন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ এই ফল চেনেন না। তাই এই ফল বাংলায় বিক্রিও হয় না। তবে অন্যান্য জায়গায় এই ফলের চাহিদা ব্যাপক দামও প্রচুর। কেরালার বাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় প্যাশন ফ্রুট। বাংলার সাধারণ মানুষের মধ্যে এই ফলের পরিচিতি হলে এখানেও ব্যাপক বিক্রি হবে আশাবাদী রাজ্যের প্রথম প্যাশন ফ্রুট চাষী কার্তিক রাম।
হরষিত সিংহ