সমাজসেবী ও এই দোকানের কর্ণধার দীপ্তেশ সেন জানান, “দীর্ঘ সাত বছর আগে সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগে তিনি এই গোটা কর্মকাণ্ড শুরু করেছিলেন। তারপর থেকে একের পর এক কেটে গিয়েছে অনেকটা সময়। তবে খাবারের মূল্য কিন্তু তিনি পরিবর্তন করেননি। আজও ৫ টাকা এবং ১০ টাকায় এই খাবার তিনি পরিবেশন করে আসছেন। আগামী দিনেও দাম এটাই রাখার সিদ্ধান্ত রয়েছে তাঁর। তবে এই কাজ করতে গিয়ে একাধিক বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে। তবে তিনি ভেঙে পড়েননি। সমাজের দুস্থ এবং গরিব মানুষদের প্রতি কিছু করার ইচ্ছে থেকেই তিনি এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।”
advertisement
তিনি আরও জানান, “তাঁর নিজের একটি ছোট্ট স্টেশনারি দোকান রয়েছে। যা দিয়ে তাঁর সংসার চলে। সেখান থেকেই সামান্য করে কিছু টাকা দিয়ে এই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এই দোকান তিনি করছেন তাঁর বাড়ির সামনে। তবে দীর্ঘ সময়ে বহু দুস্থ ও গরিব মানুষের তিনি উপকার করতে পেরেছেন। এটাই তাঁর কাছে বড় প্রাপ্তি। আগামী দিনেও যাতে তিনি এভাবেই কাজ করে যেতে পারেন সেই প্রত্যাশা রাখছেন। যদিও মূল্যবৃদ্ধির এই বাজারে সবকিছুর দাম বেড়েই চলেছে। সেক্ষেত্রে আর্থিক সংস্থান এটি বড় চ্যালেঞ্জ তাঁর কাছে।”
সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বহু মানুষ তাঁর এই দোকানে এসে পেট ভরে খেতে পারেন। এই ভালবাসা থেকেই তিনি এই দোকান আগামীদিনেও চালিয়ে যাবেন। বর্তমান সময়ে জেলা কোচবিহারের নিউ কোচবিহার রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকার এই দোকান বহু গরিব ও দুস্থ মানুষদের কাছে স্বর্গের মতন।
Sarthak Pandit





